পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় রবিবার ভোরে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নন্দলালের বাড়িতে নির্বিচারে গুলি চালালে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। গুলির আঘাতে বাড়ির বারান্দার কাঁচ ভেঙে যায়। ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুট পাওয়া যায়, যাতে ‘কৌশল চৌধুরী গ্রুপ’ এবং ‘৫ কোটি’ টাকা তোলার দাবি লেখা ছিল।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং দ্রুত এলাকা জুড়ে নাকা তল্লাশি শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
গ্যাংস্টার কৈলাশ চৌধুরী নিল হামলার দায়
ঘটনাটি আরও গুরুতর মোড় নেয় যখন গুরুগ্রামের গ্যাংস্টার কৈলাশ চৌধুরী এই হামলার দায় স্বীকার করে। পুলিশ এখন অভিযুক্তদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের জন্য জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনাটি ঘটে রবিবার ভোর ৩টার দিকে। দুষ্কৃতীরা বাইকে করে লোহারা পুলের দিক থেকে এসেছিল এবং গুলি চালানোর পর জিএনই কলেজের দিকে পালিয়ে যায়।
প্রাক্তন সুবেদারের বাড়িতে হামলা
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নন্দলাল ২০০৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে সুবেদার পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন এবং বর্তমানে লুধিয়ানায় রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করেন। তাঁর দুই ছেলে, একজন ডাক্তার এবং অন্যজন ব্যাংক ম্যানেজার।
নন্দলাল পুলিশকে জানিয়েছেন যে, ঘটনাস্থল থেকে তিনি কৈলাশ চৌধুরীর নামে একটি চিরকুট পেয়েছেন, যেখানে ৫ কোটি টাকা লেখা ছিল। তিনি বলেন, “ঘটনাস্থলে ১৫টি গুলির খোসা এবং ১টি তাজা কার্তুজ পাওয়া গেছে। কৈলাশ চৌধুরীর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি নিজে দেশের সেবা করেছি।”
পুলিশি নিরাপত্তার দাবি
ব্যবসায়ী জানান, ঘটনার সময় তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের সঙ্গে বাড়িতে ছিলেন, তবে পরিবারের সদস্যরা দীপাবলির জন্য রাজস্থানে গিয়েছিলেন। আতঙ্কের মধ্যে থাকা নন্দলাল পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যতদিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত আছে, ততদিন যেন পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দেয়। পুলিশ এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে।