শিক্ষক দিবসের আগে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মানে ভূষিত ৭৩ জন কৃতী শিক্ষক

শিক্ষক দিবসের ঠিক আগে বৃহস্পতিবার কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান প্রদান করা হলো। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃতী শিক্ষক, অধ্যাপক, এবং সেরা ১২টি স্কুলকে পুরস্কৃত করেন।

কাদের দেওয়া হলো এই সম্মান?

এদিন মোট ৭৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অধ্যাপককে ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯ জন স্কুলের শিক্ষক, ২১ জন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ১৩ জন ভোকেশনাল ও আইআইটি-বিষয়ক শিক্ষক। প্রত্যেককে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মানপত্র, শাল, ঘড়ি, স্মারক, বই এবং ২৫ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন।

এর পাশাপাশি, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম স্থানাধিকারীসহ মোট ৩৮৭ জন কৃতী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের হাতে মানপত্র, ট্যাব, ল্যাপটপ, মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর করা ডায়েরি এবং বই তুলে দেওয়া হয়।

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, যেমন কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী এবং মেধাশ্রী-র কারণে স্কুলছুটের সংখ্যা প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, “সব ভাষা শিখুন, কিন্তু নিজের অস্মিতাকে ভুলে যাবেন না।”

চাকরিহারা শিক্ষকদের আশ্বস্ত করে মমতা বলেন, “যাঁরা দশ বছর চাকরি করেছেন, তাঁরাও আজ অযোগ্য প্রমাণিত হয়েছেন। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। হয়তো শিক্ষক তাঁরা হতে পারবেন না, কিন্তু তাঁরা যাতে অন্তত গ্রুপ সি-র চাকরি পান, তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।” তিনি জানান, রাজ্য সরকারের শিক্ষক পদে এখনও ৫৬ হাজার শূন্যপদ রয়েছে, যার মধ্যে ৩৫,৭২৬টি পদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু আইনি জটিলতায় নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy