পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা-মন্ত্রীদের হোডিং মানেই সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকাটা যেন এক অলিখিত নিয়ম। কিন্তু সম্প্রতি চন্দননগরের রাস্তায় দেখা যাওয়া তৃণমূলের একাধিক হোডিংয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কেন আলোচনায় চন্দননগরের হোডিং?
সম্প্রতি চন্দননগরের বিভিন্ন রাস্তায় যে তৃণমূলের হোডিংগুলি দেখা যাচ্ছে, তা রাজ্যের অন্যান্য জেলার হোডিংগুলি থেকে একেবারেই আলাদা। এই হোডিংগুলিতে দেখা গিয়েছে শুধুমাত্র চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের (Indranil Sen) ছবি।
হোডিংয়ে লেখা, ‘আলোর শহর চন্দননগরে স্বাগতম’। এই লেখার নিচে স্পষ্ট ও বড় করে লেখা ইন্দ্রনীল সেনের নাম এবং তার একার ছবি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ছবি অনুপস্থিত থাকায় এই একক প্রচার এখন রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ও প্রশ্ন
চন্দননগর জুড়ে এমন দৃশ্য ঘিরে তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এক পক্ষের দাবি: এটি হয়তো শুধুই স্থানীয় উন্নয়নের প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি হোর্ডিং, যেখানে বিধায়কের ব্যক্তিগত উদ্যোগকে সামনে আনা হয়েছে।
অন্য মহলের দাবি: মমতা-অভিষেকের ছবি বাদ দেওয়া মানে দলের প্রচলিত সংস্কৃতি ও নীতি থেকে সরে আসা। এটি শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি কোনো বার্তা কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ইন্দ্রনীল সেন। তাঁর এই ধরনের একক প্রচার নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে—দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া কি এমন ব্যতিক্রমী হোর্ডিং টাঙানো সম্ভব?
যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন এখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। তিনি বিষয়টি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানাবেন বলেই জানিয়েছেন। চন্দননগরের এই ‘একক প্রচার’ রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।