অফিসের নানা রাজনীতি, ওঠা-পড়া ও কাজের দায়িত্বর সঙ্গে যুঝতে গেলে কাজের জায়গায় সুস্থ পরিবেশ থাকা জরুরি। কিন্তু অনেককেই অফিসে নানা রকম সমস্যার মুখে পড়তে হয়। অফিসে কাজের সময় মাথা ও মেজাজ দুই-ই যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন, তাহলে তা যেমন কাজের ক্ষতি ডেকে আনবে, তেমনি প্রভাব ফেলবে আপনার মানসিকতার উপরেও। তাই অফিসে কাজের জায়গাটি হওয়া উচিত সবচেয়ে মনের মতো। কেননা এই জায়গাটিতেই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে। তাই এখানে স্বস্তি বা শান্তির পরিবেশ না থাকলে চাপের মুখে কাজ করাও যেমন অসম্ভব, তেমনই পেশার প্রতিও আসতে পারে বিরক্তি।
কোনো সহকর্মীর বিরক্তিকর আচরণ। এমনিতেই অফিসে বিভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা নানা মনের মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে হয়। তাই সকলের সঙ্গে মনের মিল হওয়া সম্ভবও নয়। তাই অল্পবিস্তর মানিয়েগুছিয়ে নিতে হয় সকলের সঙ্গেই। তার মধ্যে কেউ যদি একটু বেশিই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তার সঙ্গে কিছু কৌশল অবলম্বণ করে চলুন। এতে তিনিও বিরক্ত করার সুযোগ পাবেন না এবং আপনিও বার বার বাগ্বিতণ্ডায় না জড়িয়ে ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে পারবেন।
মনে রাখবেন, অফিসটা কাজের জায়গা। আপনার কোনো বিরক্তিকর সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে অন্য সহকর্মীরা আপনার পক্ষ নিলেও বা তা নিয়ে সেই সহকর্মীর সমালোচনা করলেও এই অশান্তি বার বার হতে দেবেন না। এতে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ধীরে ধীরে তার সঙ্গে আপনিও হাস্যাস্পদ হয়ে ওঠেন। তাই প্রথম থেকেই এমন সহকর্মীর সামনে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন।
উপেক্ষা মানুষকে জব্দ করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র
কাজের প্রয়োজন বা দরকারি কথা ছাড়া এমন মানুষের সঙ্গে খুব একটা অন্য কথায় যাবেন না। তার বলা কোনো কথাতেও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। সাধারণত এরা এক কথার অন্য মানে করে তা নিয়ে সমস্যা তৈরি করেন। তার বলা কথা বা মন্তব্য নিয়ে অকারণে মাথা গরম করবেন না। বরং সে সব কথাকে মজার ছলে নিয়ে বুঝিয়ে দিন আপনি সে সব কথাকে কোনো গুরুত্বই দেননি। উপেক্ষাই এই ধরনের মানুষকে জব্দ করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এমন মানুষের কোনো রকম সমস্যার জন্য যদি নিজের কাজের কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে তাকে সে বিষয়ে অবগত করুন। তার পরেও অভ্যাস না বদলালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন।