উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পৌরসভার অন্তর্গত ইন্দিরা নগরে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। প্রেমিকের প্রত্যাখ্যানের ‘শাস্তি’ হিসেবে পরিবার-সহ মারধরের শিকার হয়ে অপমানে আত্মঘাতী হয়েছে এক ১৬ বছর বয়সী নাবালিকা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ঘটনার পর থেকে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক এবং তার বাবা-মা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার যুবক বিদ্যুৎ বিশ্বাস ওই নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করতে চেয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি তাতে রাজি না হওয়ায় তাকে এই চরম মূল্য দিতে হল। অভিযোগ, শনিবার রাতে মেয়েটি যখন বাড়িতে একা ছিল, সেই সুযোগে প্রেমিক বিদ্যুৎ, তার বাবা-মা এবং দিদি বাড়িতে ঢুকে তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। শুধু তাই নয়, তাকে আত্মহত্যা করার প্ররোচনাও দেওয়া হয়।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, এই অপমান সহ্য করতে না পেরে তাদের মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ঘটনার পর পরই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
খবর পেয়ে খড়দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিদ্যুতের দিদি মেঘা দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে প্রেমিক বিদ্যুৎ বিশ্বাস, তার বাবা-মা সহ বাকি অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। পুলিশ তাদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
মৃতার মা ক্ষোভে বলেন, “ছেলে, ছেলের মা, ছেলের বাবা, ছেলের দিদি – এই চারজন মিলে আমার মেয়েকে শেষ করেছে। ওরা আমার মেয়েকে মারধর করেছে। ছেলেটি আমার মেয়েকে ভালোবাসত, কিন্তু মেয়ে যখন জানতে পারল ছেলেটি ভালো নয়, তখন ও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু ছেলেটি ওকে ছাড়েনি। এরপর ওরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে মেয়েটাকে শেষ করে দিল।”