আজ মহাষ্টমী, দুর্গাপূজার শ্রেষ্ঠ দিন। সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসবের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। বেলুড় মঠ-সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে কুমারী পুজো। এরপর মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর পায়ে পুষ্পাঞ্জলি দেবেন হাজার হাজার ভক্ত। মাইকে স্তোত্রপাঠ, আরতি এবং শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত গোটা বাংলা।
দুপুরেই সন্ধিপূজা, ভিড় সামলাতে প্রস্তুত মহানগরী
সন্ধিপূজা: মহাষ্টমী তিথি পেরিয়ে দুপুরেই শুরু হবে সন্ধিপূজা—যা অষ্টমী ও নবমীর মিলনকাল। এই সময়টুকুই দুর্গাপূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
উৎসবের ভিড়: সন্ধিপূজা শেষে নবমীতে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম—সর্বত্রই রঙিন পোশাকের মানুষের ভিড় আরও বাড়বে। বড়দের হাত ধরে কচি-কাঁচারাও ঠাকুর দেখা, দেদার আড্ডা ও খাওয়া দাওয়ায় মেতে উঠবে।
আনন্দ আর দুর্যোগের কাঁটা
আজ, অষ্টমীর সকালটি রোদ ঝলমলে, ফলে নির্বিঘ্নেই ঠাকুর দেখতে পারছেন দর্শনার্থীরা। আজ কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আনন্দের আবহে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি।
ঘূর্ণাবর্ত: আজই উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে।
বৃষ্টির সতর্কতা: আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এর প্রভাবে নবমীর রাতে বৃষ্টি বাড়তে পারে। বিশেষ করে দশমী ও একাদশীতে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তাই উৎসবের আনন্দ চেটেপুটে নিতে প্রস্তুত বাঙালিকে আবহাওয়ার গতিবিধির দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে।