ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্যের পর পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটিগুলি বিধ্বস্ত হয়েছে। এই অভিযানে চরম আঘাত পেয়েছে মাসুদ আজহারের জঙ্গি সংগঠন ‘জইশ-ই-মোহম্মদ’। ভারতের বিমান হামলায় জইশের বাহাওয়ালপুরের সদর দফতর সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গেছে। এখন সেই ধ্বংস হয়ে যাওয়া সদর দফতর ‘সুবহানআল্লাহ মসজিদ’ পুনর্নির্মাণের জন্য জঙ্গি মাসুদ আজহার হাতে বাটি নিয়ে চাঁদা তুলছে।
ভারতীয় সেনা বাহিনীর এই অভিযানটি পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর জন্য এক বিরাট ধাক্কা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া খবর এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জামাত-উল-ইসলামের পোস্ট থেকে জানা গেছে, জইশ-ই-মোহাম্মদ তাদের বাহাওয়ালপুরের সদর দফতর পুনর্গঠনের জন্য বড় ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
জামাতের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, “সকলের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। সবাই অর্থ সংগ্রহ করুন, কেউ যেন জানতে না পারে কে কত টাকা দিয়েছে।” এই পোস্টের মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চাইছে।
মাসুদ আজহার নিজেও একটি পোস্টে বলেছে, “এই অভিযানে পৃথিবী স্বর্গে পরিণত হবে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া মসজিদগুলি আবার মাথা তুলবে এবং ফের জাঁকজমকভাবে ফিরে আসবে।” এই ধরনের আবেগঘন বার্তা দিয়ে সে তার অনুগামীদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইছে।
‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন ভারতীয় সেনাবাহিনী বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর ‘সুবহানআল্লাহ মসজিদ’ ভেঙে দেয়। সেই সময় মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য সহ প্রচুর জঙ্গি নিহত হয়। ভারতের এই অভিযান সন্ত্রাসবাদী প্রশিক্ষণের আস্তানাগুলিকে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে। এর ফলে জইশ-ই-মোহাম্মদ একটি বড় সাংগঠনিক এবং আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই ক্ষতির পর থেকেই সংগঠনটি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। মাসুদ আজহারের চাঁদা তোলার এই ঘটনা প্রমাণ করে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযান জঙ্গি সংগঠনগুলির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে।