বাংলার রান্না ঘরে এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে চলে এসেছে যে, ডালের কোনো রেসিপি তৈরির আগে ডাল কিছু সময় ধরে ভিজিয়ে রাখা। তারপর ধুয়ে নিয়ে জল ঝরিয়ে রান্না করা।
মসুর, খেসারি,ছোলার মতো ডাল জাতীয় শস্য রান্নার সুবিধার জন্য সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখা হয়। প্রতিদিনকার খাবারের তালিকায় ডাল যেন এক অনিবার্য খাবার। অন্য অনেক পদ যাই হোক না কেন ডাল চাই। মুগ, মসুর, অড়হর, মটর-এমন আরো অনেক রকম ডাল আমরা খেতে ভালোবাসি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, কোন ডাল কেমন করে রান্না করলে শরীরের জন্য ভালো।
পুষ্টিবিদের মতামত জেনে নেই
পুষ্টিবিদদের মতে ডালে থাকে পলিফেনল এবং ট্যানিন। তাই জলে ভেজানো থাকলে অনেকটাই ডাল থেকে চলে যায়। আর বাকি সব উপাদান ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন সব ভালোভাবে প্রবেশ করে শরীরে।
>> সকালে রান্নার পরিকল্পনা করলে আগের রাতে ভিজিয়ে রাখলে সবচেয়ে ভালো। মোটামুটি ২-৮ ঘণ্টা ডাল ভিজিয়ে রাখলে ভালো।
>> পুষ্টিবিদের মতে কিছু ডাল রান্না করতে রাতারাতি ভিজিয়ে রাখা দরকার, আবার কিছু ডাল ভিজিয়ে না রেখে ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে রান্না হয়ে যায়। তবে মুসুর ডাল রান্না করার আগে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন, তাহলে সহজে হজম হয়ে যাবে।
>>যারা ডাল খেলে গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য ডাল সবসময় জলে ভিজিয়ে রাখা উচিত। বেশিরভাগ ডালে থাকে অলিগোস্যাকারাইডস। একধরণের জটিল শর্করা।
>> ডাল ভিজিয়ে রেখে রান্না না করলে পেট ব্যাথা, পেট ফুলে যাওয়া ও গ্যাসের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
>> বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেজানো মসুর ডালে শরীরের খনিজ শোষণের হার বেড়ে যায়। মুসুর ডালে রয়েছে ফাইটেজ নামে একরকমের এনজাইম। কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর ফাইটিক অ্যাসিডকে ভেঙে তা সক্রিয় হয়। bs