শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানসমৃদ্ধ খাবারের কোনো বিকল্প নেই। এসব উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস রঙিন ও সবুজ শাকসবজি। তবে সঠিক পদ্ধতিতে রান্না না করলে শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়।
ডায়েটে কেবল পুষ্টিকর খাবার রাখলেই চলবে না, সমস্ত পুষ্টিগুণ শরীরে ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে কি না, সেটাও নজরে রাখা ভীষণ জরুরি। তবেই তো শরীর চাঙ্গা থাকবে। কাজেই রান্নার আগে খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখার পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। জেনে নিন, সবজি রান্নার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় না রাখলে রংবেরঙের সবজি খেয়েও কোনো লাভ হবে না।
১. আনাজ বা সবজি ধোয়ার সময়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড-পরবর্তী কালে অনেকেই সবজি ধোয়ার সময়ে খাবার সোডা ব্যবহার করেন। তবে খাবার সোডায় থাকা অ্যালকালাইন উপাদান খাবারের ভিটামিন বি ও সি-কে নষ্ট করে দেয়। সবজি কাটার পর নয়, গোটা অবস্থায় এবং কম জল ব্যবহার করে ধোয়া উচিত। অনেকেই কাজের সুবিধার জন্য কয়েক দিনের সবজি আগে থেকে কেটে ফ্রিজে মজুত রাখেন, তাতেও সবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। রান্নার ঠিক আগে সবজি কাটতে হবে।
২. যে কোনো আনাজই ডুমো ডুমো করে কেটে রান্না করা ভালো। সবজি যত ছোট করে কাটবেন, তত পুষ্টিগুণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।
৩. কোনো সবজি সেদ্ধ করার পর অনেকেই সেই জল ফেলে দেন। তবে এই ভুলটি না করে সবজি সেদ্ধ করা জল দিয়েই গ্রেভি কিংবা ঝোল রেঁধে ফেলুন।
৪. কিছু সবজি খোসাসুদ্ধ খাওয়াই ভালো, কারণ তা ফাইবার-সমৃদ্ধ। আর ভিটামিন, খনিজ খোসার ঠিক নীচেই থাকে। সেই সব সবজি খোসা না ছাড়িয়েও রান্না করা যায়। সবজি কাটার সময় অনেকেই মোটা করে খোসা কেটে বাদ পরিষ্কার করে দেন। আর খোসা একেবারেই পছন্দ না করলে খোসা-সমেত সেদ্ধ করে পরে খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারেন।
৫. সবজি রান্নার পর অতিরিক্ত হয়ে গেলে, তা পরের দিন গরম করে খাওয়া হয়। সবজি রান্নার পর দিনের দিন খেয়ে নেয়াই ভালো। দ্বিতীয় বার গরম করলে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।