যৌবন ধরে রাখা প্রকৃতির অমোঘ নিয়মের ব্যতিক্রম। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া স্বাভাবিক। তবে কিছু ভুল অভ্যাস সময়ের আগেই আপনার ত্বকের তারুণ্য কেড়ে নিতে পারে। বলিরেখা, চামড়া ঝুলে যাওয়া বা ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো কুড়ির কোঠাতেই দেখা দিতে পারে। অকাল বার্ধক্য রুখতে আজই ত্যাগ করুন এই ৮টি বদঅভ্যাস:
১. ধূমপান:
ধূমপান ত্বকের প্রধান শত্রু। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ধূমপান করেন তাদের ত্বকে অন্যদের তুলনায় অনেক দ্রুত বলিরেখা পড়ে। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ও যৌবন ধরে রাখতে অবিলম্বে ধূমপান ত্যাগ করুন।
২. অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার:
মিষ্টি প্রিয় হলে সাবধান! অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিনের ক্ষতি করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। এর ফলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেখা দেয়। তাই ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে মিষ্টি খাবারের পরিমাণ কমান।
৩. কোল্ড ড্রিঙ্কস ও মদ্যপান:
গরমকালে অনেকেই ঘন ঘন কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করেন। অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়ার অভ্যাস ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয় এবং বলিরেখা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে, মদ্যপানও ত্বককে ডিহাইড্রেটেড করে এবং দ্রুত বুড়িয়ে যেতে সাহায্য করে।
৪. চুইংগাম:
দীর্ঘক্ষণ চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস থাকলে চোয়াল ও থুতনির आसपासের ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়তে পারে। মুখের এই অংশের পেশিগুলির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই এমনটা ঘটে।
৫. ঠিকমতো মেকআপ না তোলা:
সাজগোজের পর মেকআপ ভালোভাবে না তুললে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ত্বকের কোলাজেন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বলিরেখা দেখা দিতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মেকআপ পরিষ্কার করুন।
৬. ত্বক টানা:
গাল ধরে টানাটানি করা, হাতের উপর ভর দিয়ে বসা বা অযথা ত্বকে হাত দেওয়ার অভ্যাস ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমিয়ে দেয় এবং বলিরেখা ফেলে। তাই এই অভ্যাসগুলো পরিহার করুন।
৭. সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা:
অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহারের গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয় এবং দ্রুত বলিরেখা সৃষ্টি করে। রোদে বের হওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান।
৮. উপুড় হয়ে বা গালে ভর দিয়ে ঘুমানো:
রাতে আরামের জন্য অনেকেই ডান বা বাম কাত হয়ে ঘুমান, এমনকি গালের উপর ভর দিয়েও ঘুমান। দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে ঘুমালে ত্বকের উপর চাপ পড়ে এবং দ্রুত বলিরেখা দেখা যায়। এই সমস্যা এড়াতে চিত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করুন অথবা সিল্ক বা সাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করুন।
এই সামান্য পরিবর্তনগুলো আনলেই আপনি অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারেন এবং ধরে রাখতে পারেন তারুণ্য। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই সচেতন হন।