স্মার্টফোন ছাড়া চলা সত্যিই মুশকিল! স্রেফ সোশাল মিডিয়া বা সিনেমা দেখার জন্যই তো আর আজকাল আমরা তা ব্যবহার করি না, জরুরি নানা কাজকর্ম বা বাজারদোকানও সারা হয় ফোনের মাধ্যমে। তা ছাড়া কথা বলা, গান শোনা তো আছেই! তাই তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখাও জরুরি। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এই সহজ কাজটা আমরা প্রায় কেউই করি না বা জানি না ঠিক কীভাবে তা করা সম্ভব। আপনার সাহায্যে হাজির আমরা – তার আগে বলতে চাই, সপ্তাহের একটা দিন ফোন পরিষ্কারের জন্য বরাদ্দ রাখুন। ফোন পরিষ্কারের সময় কয়েকটি নিয়মবিধি অবশ্যই মেনে চলা উচিত।
এক, পরিষ্কার করার সময় ফোন যেন চার্জে দেওয়া না থাকে। ইন ফ্যাক্ট চার্জার আর ইয়ারফোনও আলাদা করে পরিষ্কার করা দরকার। ফোন পরিষ্কার করার সময় তা সুইচ অফ করে দেবেন।
দুই, স্ক্রিন গার্ড বা ব্যাক কভার খুলে ফোন পরিষ্কার করা উচিত। সেগুলিও আলাদা করে পরিষ্কার করতে হবে, সেটা মনে রাখবেন।
তিন, জানলা বা কাচের টেবিল পরিষ্কারের উপযোগী তরল দিয়ে ফোন পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। ফোনের জন্য তা খুব কড়া, এতে আখেরে ক্ষতিই হবে।
চার, কখনও কোনও তরল বা ক্লিনিং এজেন্ট সরাসরি ফোনের উপর স্প্রে করবেন না। হালকা কোনও কাপড়ে তা অল্প পরিমাণে নিয়ে ফোন পরিষ্কার করুন।
পাঁচ, পরিষ্কারের পর অন্তত 15 মিনিট সময় দিন, ফোন পুরোপুরি শুকনো না হওয়া পর্যন্ত কোনও কেস বা প্রোটেকটিভ কভার লাগাবেন না।
ছয়, ফোনের মধ্যে যে সব খাঁজ আছে, সেগুলি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করুন কাঠের টুথপিক। সাবধানে আলতো হাতে খুঁচিয়ে সব ময়লা বের করে ফেলুন। কাঠির উপর তুলো জড়িয়েও এ কাজটি করতে পারেন।
সাত, ফোন যেদিন পরিষ্কার করছেন সেদিন অবশ্যই ফোনের কভারও পরিষ্কার করতে হবে। কাপড়ে পরিষ্কার করার সলিউশন নিয়ে ভালো করে ঘষে মুছুন স্ক্রিন গার্ড ও ব্যাক কভার।
আট, বাড়িতেও তৈরি করে নিতে পারেন ফোন পরিষ্কারের উপযোগী মিশ্রণ, সমান পরিমাণ সাদা ভিনিগার আর ডিস্টিলড ওয়াটার ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে মিশিয়ে নিয়ে স্প্রে বটলে রাখলেই তা ব্যবহারের যোগ্য হয়ে উঠবে।
নয়, অফিসে বা বাড়ির টয়লেট ফোন ব্যবহারের অভ্যেস আছে? পারলে তা ত্যাগ করুন। তাতে ফোনের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
দশ, মনে রাখবেন, যে কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের শত্রু হচ্ছে জল। তাই ফোন জল থেকে যত দূরে রাখতে পারবেন তত ভালো। পরিষ্কার করার পরে ফোন একেবারে শুকনো করে তবেই সুইচ অন করা উচিত।