যেসব লক্ষণে বুঝবেন পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে- গলব্লাডারে স্টোন বা পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এই সমস্যা পুরুষদের তুলনায় নারীদের বেশি হয়ে থাকে। এর মূল কারণ হচ্ছে- মেনোপজের পর হরমোন ক্ষরণে ঘাটতি, গর্ভনিরোধক বড়ি খাওয়ার অভ্যাস, খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম,জল কম খাওয়া ইত্যাদি। যদিও এই রোগ নারীদের বেশি হয়, তবে পুরুষদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে।কিছু উপসর্গ আপনাকে জানান দেবে যে আপনার পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। সতর্কতা বাড়াতে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই লক্ষণগুলো- মাঝেমাঝেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং সঙ্গে পেটে ব্যথা। পিত্তাশয়ে পাথর হলে মাংস বা তেল মশলা জাতীয় খাবার খেলে পেটে ব্যথা হয়। সঙ্গে বমিও।পিত্তাশয়ে পাথর হলে অনেক সময় একইসঙ্গে অনেকে হেপাটাইটিসেও আক্রান্ত হন। এক্ষেত্রে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।গলব্লাডারের মূল লক্ষণ পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছায়।এরকম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান।
লক্ষণ- ১. ওপরের পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথা ডান কাঁধে ছড়ায় এবং রোগীর বমি হয়। ২.
অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে। এ লক্ষণ দেখা দিলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। ৩. তৈলাক্ত খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার বা মাংস খেলে এ রকম ব্যথা হতে পারে।
তবে গ্যাসের ওষুধ খেলে এটি ভালো হয়ে যায়। ৪. মধ্য পেটে ব্যথা হয়। মধ্য পেটে ব্যথা হয়ে একেবারে পেছন দিকে চলে যায়।
৫. জ্বরের সঙ্গে বমি হতে পারে। রোগী এক্ষেত্রে টক্সিক হয়ে যেতে পারে। ৬.
জ্বরের সঙ্গে জন্ডিস হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যা হয় তা হলো পাথর হয়তো পিত্তনালিতে চলে গেছে। সে জন্য জ্বর হয়ে কোলেনজাইটিস নিয়ে আসতে পারে। এগুলোর মধ্যে কোনো একটি লক্ষণ থাকলেই দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
একেবারেই অবহেলা করবেন না বা ফেলে রাখবেন না। অল্প সমস্যাতে গ্যাসের ওষুধ খাওয়া কোনো স্থায়ী সমাধান নয়।
প্রতিরোধ- ১. অতিরিক্ত ওজন ধীরে ধীরে কমানো।
২. অধিক শ্বাসযুক্ত খাবার গ্রহণ যেমন- শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি। ৩. অধিক পরিমাণ উদ্ভিজ্জ তেল বা ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ তেল গ্রহণ যেমন- সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল।
৪. অধিক প্রাণিজ চর্বি গ্রহণ এড়িয়ে চলা। ৫. ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২.৫-৩ লিটার জল পান করা। ৬. নিয়মিত দৈহিক ব্যায়াম করা (প্রাপ্ত বয়স্কদের)।