গর্ভবতী মায়েদের খাদ্যাভ্যাসের খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। কখনও টক, কখনও ঝাল – এই সময় হরেক রকম খাবারের প্রতি আকর্ষণ দেখা যায়। তবে অনেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মিষ্টি খাবারের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা থাকে। সকাল-বিকাল চায়ে দু’চামচ চিনি বেশি, তো কখনো রসগোল্লা বা সন্দেশের জন্য মন আনচান করে। কিন্তু সাবধান! আপনার এই মিষ্টিমুখ কি গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি করছে না তো?
সম্প্রতি একদল পশ্চিমা গবেষক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য এক সাবধানবাণী শুনিয়েছেন। তাদের দাবি, যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় বেশি মিষ্টি খান, তাদের গর্ভজাত সন্তানদের মধ্যে অ্যাজমা বা হাঁপানির ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
‘দ্য অভ্যান লংগিচুডিয়াল স্টাডি অফ পেরেন্টস অ্যান্ড চিলড্রেন’ নামক একটি দীর্ঘমেয়াদী গবেষণায় ৯ হাজার মা ও তাদের সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালে যেসব মহিলারা মা হয়েছিলেন, তাদের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়, তাই এটিকে ‘চিলড্রেনস অফ দ্য 90s’ নামেও অভিহিত করা হয়। এই গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব মহিলারা গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চিনি খান, তাদের সন্তানদের মধ্যে অ্যাজমা বা হাঁপানির ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। আর সেই কারণেই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের চিনি কম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
যদিও এই গবেষণার প্রধান সইফ শাইন স্পষ্ট করে বলেছেন, গর্ভাবস্থায় বেশি চিনি খেলে গর্ভজাত সন্তানের মধ্যে অ্যাজমার আশঙ্কা বাড়ে ঠিকই, তবে এর অর্থ এই নয় যে চিনি খেলেই অনিবার্যভাবে অ্যাজমা বা হাঁপানি হবে। তবে ঝুঁকি কমাতে গর্ভবতী মহিলাদের মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। গর্ভাবস্থায় সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ মায়ের এবং সন্তানের উভয়ের জন্যই অপরিহার্য।