বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি। যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য আছে।
তবে সাধারণভাবে দুজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও যৌন সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতি লাভই বিয়ে বলে গণ্য হয়। শুধু শারীরিক নয় মানসিক ঘনিষ্ঠতাও জরুরি বিয়ের ক্ষেত্রে। এছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে যে কারণে মানুষ বিয়ে করে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
সাহচর্য ও ভালবাসা
মানুষ কেন বিয়ে করে তার অন্যতম মৌলিক কারণ হলো প্রেম ও সাহচর্য। মানুষ যেহেতু সামাজিক জীবন, তাই একা থাকতে কমবেশি সবাই ভয় পান।
আর সেই ভয় কাটাতেই বেশিরভাগ মানুষই পছন্দের সঙ্গী বেছে নেন আজীবন একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে। জীবনের সব আনন্দ ও খারাপ মুহূর্তগুলো তারা একে অন্যের উপর ভরসা করে কাটিয়ে দেয়।
বাহ্যিক চাপ
পরিবার, সামাজিক এমনকি সমবয়সীদের চাপও মানুষকে বিয়ে করতে আগ্রহী করে তোলে। কিছু সংস্কৃতি ও সমাজে, বিবাহকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে নির্ধারিত হয়। ফলে প্রাপ্তবয়স্ক হতেই বিয়ের জন্য পরিবার, সমাজ এমনকি বন্ধুরাও চাপ দিতে থাকে।
সেক্ষেত্রে বিয়ে না করা অস্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। যখন কোনো ব্যক্তি তার বন্ধু বা সমবয়সীদের বিয়ে করতে দেখে, তখন তারা অনুভব করে যে তাদের জীবনে কিছুর অভাব আছে। যা পরবর্তী সময়ে তার বিয়ের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে।
মানসিক নিরাপত্তা
বিবাহ মানসিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রদান করতে পারে। জীবনের উত্থান-পতনের সময় কাঁধে হাত হাত রাখার মতো একজনের দরকার পড়ে।
আর বিয়ের মাধ্যমে যখন দুজন মানুষ একে অন্যের সঙ্গে এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করেন তখন তাদের মধ্যে নিরাপত্তা, বিশ্বাস ও মানসিক সুস্থতার অনুভূতি তৈরি হয়।
পরিবার শুরু করা
নতুন একটি পরিবার শুরু করার জন্য অনেকেই বিয়ে করেন। বিবাহ যেহেতু একটি সামাজিক স্বীকৃতি, তাই বেশিরভাগ মানুষ বিয়ের পর সন্তান নেন ও পরিবার বড় করেন।
বিয়ের ছাড়া সন্তান ধারণের বিষয়টি এখনো সমাজ স্বীকৃত নয়, তাই বিয়ের মাধ্যমে নিজেদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সন্তানের নিরাপত্তায় পরিবার শুরু করেন কমবেশি সবাই।
সম্পর্কের স্বীকৃতি
বিবাহ দুজন অংশীদারদের সম্পর্কের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা দান করে। যদিও ভবিষ্যতে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে অনেকেরই, তবে বিবাহ হলো একে অপরের প্রতি অঙ্গীকারের প্রকাশ্য ঘোষণা।