বয়স অনুযায়ী কত ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন, জানেন কি? না জানলে জেনেনিন

আমাদের দৈহিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুম অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম আমাদেরকে সক্রিয় ও সতেজ করে তোলে।

সাধারণভাবে স্বাস্থ্যকর ঘুম বলতে প্রতি রাতে একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমকে বুঝানো হয়। একে অনেকে ঘুমের পরিমাণ হিসাবে ধরে নেয়। যদিও ঘুমের পরিমাণ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি ভালো ঘুমের জন্য এর পরিমাণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হলো গুণগত মান।

কম ঘুমানোর মতোই বেশি ঘুমানোটাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তর্গত কেক স্কুল অব মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক রাজ দাসগুপ্ত বলেন, একজন মানুষের কতক্ষণ ঘুমানো দরকার তার উত্তর সহজে দেয়া যায় না। কতক্ষণ ঘুমানো প্রয়োজন তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু সাধারণ সুপারিশকৃত পরিসর হলো- প্রতিরাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা। বয়স অনুসারেও সুপারিশকৃত পরিসর রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের পরিমাণ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি ঘুমের মানও বজায় রাখতে হবে। ঘুমের পরিমাণ ঠিক থাকার পরও ক্লান্তি লাগলে বুঝতে হবে যে ঘুমের মান বজায় ছিল না। ঘুমের মধ্যে আমরা কিছু স্টেজে চলে যাই, কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন ঘুম না হলে এসব স্টেজে পৌঁছানো অসম্ভব হতে পারে। ঘুমের স্টেজগুলোতে পৌঁছলে দিনের বেলা শরীর ও মন দুটোই সতেজ থাকে।

বয়স অনুসারে ঘুমের পরিমাণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শ হলো-

>>> শূন্য থেকে ৩ মাস বয়সী শিশুদের ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

>>> ৪ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়।

>>> ১ থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের দরকার হয় ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টার ঘুম।

>>> ৩ থেকে ৫ বছর বয়সীদের জন্য ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।

>>> ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের রাতে অন্তত ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তবে নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঠিকঠাক ঘুমাতে পারলেও ওরা নিজেকে চালিয়ে নিতে পারে।

>>> ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের।

>>> ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

>>> ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

>>> ৬৫ বছরের চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ঘুমানো প্রয়োজন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।bs

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy