বাদাম খাওয়াটা ঠিক কতটা স্বাস্থ্যকর জানেন? জানলে আপনিও খাবেন রোজ

এ কথা মোটামুটি আমরা সবাই জানি যে বাদাম আর বিভিন্ন শস্যের বীজকে আজকার খুব স্বাস্থ্যকর বলে গণ্য করা হচ্ছে। এমনকী, যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তাঁদেরও আচমকা খিদে পেলে অন্য খাবারের দিকে হাত না বাড়িয়ে বাদামের উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বাদামে ফ্যাট থাকে, থাকে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার। তাই বাদাম খেলে বেশ খানিকক্ষণ পেট ভরে থাকে। যাঁদের দুধে অ্যালার্জি থাকে, তাঁরা বাদামের সঙ্গে জল মিশিয়ে বেটে ছঁকে নিয়ে দুধের মতো পান করেন, তাতে প্রোটিনের খাতায় কম-বেশি তেমন হয় না।

বেশিরভাগ বাদামেই থাকে মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, আখরোটে অবশ্য পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে। তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাট তেমন থাকে না। ডায়েটারি কোলেস্টেরলের দিক থেকে দেখলে বাদাম শূন্য পাবে, অর্থাৎ যাঁরা হাই কোলেস্টেরলের রুগি, তাঁরাও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে পর্যাপ্ত বাদাম খেলে উপকার পাবেন। তা ছাড়া মিলবে ভিটামিন ই, বি সিক্স, ফোলেট ও নানা মিনারেলস। তাতে ভালো থাকবে আপনার ত্বক আর চুলের স্বাস্থ্যও। বেশিরভাগ বীজ থেকেও এই পুষ্টিগুণই মেলে, সেই সঙ্গে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডান্টও। ফলে যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, বাদাম হল তাঁদের পরম বন্ধু। সবচেয়ে ভালো ব্যাপারটা হচ্ছে, বাদাম হজম করতে গেলে আপনার শরীরকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে বেশি ক্যালোরি খরচ হয়, প্রাপ্তির খাতায় থাকে প্রচুর এনার্জি।

তবে অতিরিক্ত বাদাম খেলে চলবে না। দিকে এক মুঠি পরিমাণ বাদাম ও বীজের মিশ্রণ হচ্ছে সর্বাধিক মাত্রা – তার চেয়ে বেশি খাবেন না। ভাজা বা নুন মেশানো বাদাম খেলেও কোনও ফল হবে না। সব সময় একটা শুকনো কৌটোর মধ্যে বাদাম ভরে রাখুন, সরাসরি সূর্যের আলো বা জলের সংস্পর্শে যেন তা না আসে – তা হলে কিন্তু ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।

সতর্কীকরণ: বাদাম থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়। আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার তেমন কোনও সমস্যা নেই তো? বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy