বর্ষায় মশার উপদ্রব! শিশুকে রক্ষা করতে যা করবেন মায়েরা

বর্ষাকাল মানেই মশার উৎপাত বৃদ্ধি। এই সময়ে মশাবাহিত ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই এই মরসুমে শিশু থেকে বয়স্ক—সবারই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। তাই এখন থেকেই বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা অত্যাবশ্যক।

শিশুদের মশার কামড় থেকে রক্ষা করার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় মশার কামড়ে তারা খুব কষ্ট পায় এবং তাদের সহ্যক্ষমতাও কম থাকে।

যদি কোনো কারণে আপনার শিশুকে মশা কামড়ায়, তাহলে তার চুলকানি, ব্যথা এবং ত্বকের লালচে ভাব কমাতে অবশ্যই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। জেনে নিন সেই উপায়গুলো:

খাবার সোডা ও জলের পেস্ট: সামান্য খাবার সোডার সাথে জল মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মশার কামড়ের স্থানে লাগিয়ে দিন। এটি চুলকানি কমাতে সহায়ক হবে।

বরফের টুকরোর ব্যবহার: যদি চুলকানি খুব বেশি হয়, তাহলে একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফের টুকরো নিয়ে আক্রান্ত স্থানে হালকাভাবে মালিশ করুন। ঠান্ডা ভাব চুলকানি কমাতে আরাম দেবে।

অ্যালোভেরার শাঁস: বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে, তার পাতা থেকে শাঁস বের করে মশার কামড়ের জায়গায় লাগান। অ্যালোভেরার শীতলকারী এবং প্রদাহ-নাশক গুণ জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করবে।

তবে মনে রাখবেন, ভুলেও সরাসরি শিশুর ত্বকে কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বা স্টেরয়েডযুক্ত মলম ব্যবহার করবেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ ক্যালামাইন এবং প্র্যামকসিনসমৃদ্ধ লোশন মশার কামড়ের ফলে সৃষ্ট ব্যথা ও চুলকানি কমাতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে।

তবে যেসব মলমে অ্যানাস্থেটিক (অবশকারী) এবং অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় উপাদান থাকে, তা ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এই ধরনের মলম শিশুদের কোমল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে শিশুর discomfort কমানোই শ্রেয়।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy