ফ্রিজে রাখা আলু হতে পারে মারাত্মক? কি কারণ জানতে পড়ুন

কিচেন গ্যাজেট হিসেবে ফ্রিজ খাবার অপচয় রোধে সাহায্য করে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে ফ্রিজের শীতল তাপমাত্রা স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে, তা আমরা ভুলে যাই। তবে একটু সতর্কতা অবলম্বন করলে এসব ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। যেমন- অনেকেই আলু ফ্রিজে রাখেন। এতে হয়তো আলু পঁচে যাওয়ার প্রবণতা কমে, কিন্তু হয়ে ওঠে শরীরের জন্য বিপজ্জনক। ফ্রিজে থাকা আলু কারণ হতে পারে ক্যান্সারের।

আলু ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে শীতল তাপমাত্রার কারণে এতে মজুদ শ্বেতসার চিনিতে পরিণত হয়। এই চিনি উচ্চ তাপমাত্রায় বিপজ্জনক রাসায়নিক তৈরি করে। আর এই রাসায়নিক ভূমিকা রাখে শরীরে নানা ধরনের ক্যান্সারের বীজ বপনে।

যুক্তরাজ্যের ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রিজে সংরক্ষিত আলু যখন ভাজা হয় তখন এতে থাকা চিনি মিশ্রিত হয় অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে। এই অ্যামিনো অ্যাসিড আলুতেই থাকে। চিনি ও অ্যামিনো অ্যাসিডের সংমিশ্রণে তৈরি হয় অ্যাক্রিলামাইড নামের এক রাসায়নিক।

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবারে পাওয়া যায় অ্যাক্রিলামাইড। এই রাসায়নিক উন্মুক্ত হয় উচ্চ তাপমাত্রায় শ্বেতসারযুক্ত খাবার রান্না বা ভাজার সময়। কাগজ, রঙ ও প্লাস্টিক তৈরিতে অ্যাক্রিলামাইড ব্যবহার হয়।

গবেষণা বলছে, খাবারে অ্যাক্রিলামাইডের উপস্থিতি প্রথম লক্ষ্য করা যায় ২০০২ সালে। যারা উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা শ্বেতসার সমৃদ্ধ পণ্য গ্রহণ করেন তাদের বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

এই সমস্যা সমাধানে কক্ষে সাধারণ তাপমাত্রায় আলু সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। সেই সঙ্গে আলু রান্নায় উচ্চ তাপমাত্রা ব্যবহার না করার উপদেশ দিয়েছে।

ঝুঁকি এড়াতে বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে আলুর খোসা ছাড়িয়ে তা রান্নার আগে ১৫-৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে রান্নার সময় অ্যাক্রিলামাইড সৃষ্টির প্রবণতা কমে যায়।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy