বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প মানেই নিজের মনের সমস্ত কথা উজাড় করে দেওয়া! বাড়ির কথা, অফিসের কথা, প্রেমিক বা বরের কথা, কোনও কিছুই বাদ পড়ে না গল্পের তালিকা থেকে! কিন্তু গল্প করতে গিয়ে আপনি খুব বেশি ব্যক্তিগত তথ্যও বান্ধবীদের সঙ্গে শেয়ার করে ফেলছেন না তো? যেমন ধরুন, স্বামীকে নিয়ে বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করতে করতে আপনাদের বেডরুমের ঘনিষ্ঠতম কথাবার্তাও বলে ফেলছেন না তো? তেমন হলে আপনার কিন্তু সাবধান হওয়ার সময় হয়েছে! নিজের এবং স্বামীর ব্যক্তিগত জীবন, যৌনজীবন নিয়ে বান্ধবীদের সঙ্গে আলোচনা নড়বড়ে করে দিতে পারে আপনার সম্পর্কের ভিতটাই! দেখুন কীভাবে সতর্ক হবেন!
স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন
বান্ধবীদের স্বামী সম্পর্কে কোনও একটা কথা বলেছিলেন, বান্ধবীরা তা স্বামীকে জানিয়ে দিয়েছেন? এ ক্ষেত্রে সৎ থাকা সবচেয়ে জরুরি। স্বামীর কাছে স্বীকার করে নিন কথাটা আপনি বলেছেন। ওঁকে ওঁর অনুভূতিটা প্রকাশ করতে দিন। যদি উনি অসন্তুষ্ট হন, তা হলে ভবিষ্যতে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে একটা কথাও ঘনিষ্ঠতম বান্ধবীকেও বলবেন না।
আন্তরিকতা দরকার
নিজেকে ওঁর জায়গায় রেখে দেখুন। উনি যদি আপনার সম্পর্কে নানান কথা নিজের বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তা হলে কি আপনার ভালো লাগবে? আপনার উত্তর যদি ‘না’ হয়, তা হলে নিজেও সেটা মেনে চলার চেষ্টা করুন।
মনের কথা যাকে তাকে বলবেন না
বান্ধবী অনেকেই থাকেন, কিন্তু এমন ক’জন থাকেন যাঁর সঙ্গে বিশ্বাস করে সব কথা শেয়ার করা যায়? হয়তো আপনার বান্ধবীর অনেক গুণ আছে, কিন্তু তাঁর পেটে কথা থাকে না! আপনার ঘনিষ্ঠতম কথা পাঁচকান হোক, তা নিশ্চয়ই চান না? তাই কার সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেবেন, সেটা বুদ্ধি করে বিবেচনা করা দরকার।
চুপ করে থাকা প্র্যাকটিস করুন
বেশি কথা বলার সমস্যা হল, যে কথা না বলার সেটাও পেট থেকে বেরিয়ে যায়! আপনি হয়তো খোলামেলা হাসিখুশি স্বভাবের, কিন্তু কোথাও আপনাকে একটু চুপ করে থাকা অভ্যেস করতেই হবে! যেমন, আপনার একটা দুর্ধর্ষ যৌনজীবন থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়! নিজের বেডরুমের গল্প অপরকে বলবেনই বা কেন? এই বিষয়টা মাথায় ঢুকিয়ে নিন আর মেনে চলুন!