ঠিক পাখার নিচে শুচ্ছেন? বিপদের দিকগুলির কথা মাথায় আছে তো? জেনেনিন বিস্তারিত

গরমকালে পাখার নিচে শোয়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য কত ঠেলাঠেলিই না করেছেন ছেলেবেলায়, তাই না? বিশেষ করে পূর্ব ভারতের ভ্যাপসা গরমে ঘামের উৎপাত ঠেকাতে পাখার নিচটাই সবচেয়ে আরামদায়ক স্থান বলে আমরা জেনে এসেছি এতদিন। আপনি হয়তো ভাবছেন, পাখার নিচে শুলে বড়োজোর তা মাথায় ভেঙে পড়বে, তার চেয়ে বেশি আর কী-ই বা হতে পারে? এই সম্ভাবনাটির প্রসঙ্গে আমরা কোনও কথাই বলতে চাইছি না, সেটা অ্যাকসিডেন্ট। কিন্তু সরাসরি পাখার হাওয়ায় শুলে নানা শারীরিক অসুবিধে হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। বিশেষ করে মাঝরাতের দিকে আচমকা হাঁসফাঁস করে যাঁদের ঘুম ভেঙে যায়, সিওপিডি বা সাইনাসের সমস্যা আছে, তাঁদের পাখার নিচে শুলে বিলক্ষণ সমস্যা হতে পারে।

পাখার দিকে একবার তাকিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন, তা ঘোরার সময়েই প্রচুর ধুলো আকর্ষণ করে নিজের দিকে। সেই ধুলো জমতে থাকে পাখার ব্লেডে, শরীরে। রাত যত বাড়ে, ঘরের বাতাসও তত ঠান্ডা আর ভারী হয়। সেই ভারী বাতাসের সঙ্গে ধুলোও নেমে আসে আপনার কাছাকাছি। এমনকী আলমারি বা কাবার্ডের মাথায় জমে থাকা ধুলোকেও উড়িয়ে আনতে পারে পাখার বাতাস! যাঁদের ফুসফুসে সমস্যা আছে, তাঁরা তো বটেই, সুস্থ মানুষেরও এর ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধে হতে পারে। পাখার ঠিক নিচে শুলে আপনার নেজ়াল ক্যাভিটির প্রাকৃতিক মিউকাসও ক্রমশ শুকোতে আরম্ভ করবে। সাইনাসের সমস্যা থাকলে হতে পারে মাথায় ব্যথা। এমনকী ঘাড় বা কাঁধের মাসলগুলি শক্ত হয়ে যাওয়াও বিচিত্র কিছু নয়।

রাতের ঘুমটা আরামদায়ক ও নিশ্ছিদ্র হওয়া খুব জরুরি। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের এই সমস্যাগুলির কোনওটিই বিব্রত করে না, তাঁরা স্বচ্ছন্দে পাখার নিচে ঘুমোতে পারেন। তবে খুব হাই স্পিডে না চালিয়ে পাখা মাঝারি স্পিডে চালান, হালকা হাওয়াতেই সবচেয়ে ভালো ঘুম হয়। আর অতি অবশ্যই পাখার ব্লেড ঝকঝকে পরিষ্কার রাখুন। মনে রাখবেন, আজকালকার ফ্ল্যাটবাড়ির ঘরের উচ্চতা খুব বেশি হয় না, তাই এই সমস্যাগুলি বেশি বিব্রত করে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy