মাকড়শা থেকে শুরু করে বিছে থেকে শুরু করে প্রিয় ফুল।এছাড়াও আবার প্রিয় মানুষের নামের অক্ষর অথবা পছন্দের কোনও কোটেশন।শুধু মেক আপেই থেমে নেই স্টাইল স্টেটমেন্ট। শরীরের নানা কোণে সাজগোজের অঙ্গ হিসেবে এমন সব ট্যাটুকে আপন করে নিয়েছে জেন ওয়াই।
দেশ-বিদেশের নানা খেলোয়াড় থেকে শুরু করে আমজনতা, শরীরে ট্যাটু খোদাইয়ে পিছিয়ে নেই কেউই। তবে যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরাও যে ট্যাটু করানোর আগে বা পরে খুব নিয়ম মানেন বা সতর্কতা অবলম্বন করেন এমনটা নয়। ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে।
ত্বকের মারাত্মক সমস্যাও হানা দিতে পারে এর হাত ধরে।ট্যাটু যেহেতু মূলত লেখা বা আঁকার কাজ, তাই ভাল কোনও শিল্পীর জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করুন। শুধু দেখতে খারাপ হবে বলেই নয়, ত্বকে ট্যাটু করাতে গেলে যে পারদর্শীতা প্রয়োজন, তা একজন ভাল শিল্পী না হলে থাকে না। তাই সতর্ক থাকুন শিল্পী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে।
বর্তমান পরিস্থিতে ট্যাটু করার কয়েকটি পরামর্শ
*যদি প্রথমবার ট্যাটু করতে যান তাহলে বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে যাঁরা নিয়মিত ট্যাটু করান তাদের কাছ থেকে ভালো পার্লারের খোঁজ নিয়ে নিন।
*করোনা সংক্রমণের সময় ট্যাটু পার্লারের ভিড় এড়িয়ে চলাই ভালো। তাই আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে নেবেন।
* পার্লার স্যানিটাইজ করা কিনা আগে নিশ্চিত হন।
*ট্যাটু করতে কোন কালি ব্যবহার করা হচ্ছে জেনে নেবেন।
*শরীরের কোন অংশে ট্যাটু করবেন তা আগে থেকে ঠিক করে নিন।
*ট্যাটুর ডিজাইন আগে থেকে ঠিক করে ফেলুন।
*পার্লারে নির্দিষ্ট ছবি অবশ্যই নিয়ে যাবেন।
*আবার ট্যাটু আর্টিস্টের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকেও ছবি পছন্দ করে নিতে পারেন।
*প্রথমবার ট্যাটু করতে গেলে সামান্য ব্যথা লাগবে, তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন। প্রথম প্রথম সামান্য ব্যথা লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তা সহ্য হয়ে যাবে।
*ট্যাটুর ট্রেন্ড কিন্তু সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। তাই আগে কী নকশা ভেবেছিলেন তার সঙ্গে এখনকার ট্রেন্ড মিলিয়ে নেবেন। হয়তো দেখা গেল ট্যাটু আর্টিস্টের কাছে আরও ভালো ডিজাইন আছে।
*ট্যাটু আর্টিস্ট অভিজ্ঞ। সেকারণে তাঁর পরামর্শ অবশ্যই শুনবেন।
* অনেক সময় আপনি হয়তো এমন কোনও নকশা বেছেছেন যা আপনার ত্বকের পক্ষে ঠিক নয়, বা সেটি ত্বকের উপর আঁকা সম্ভব নয়। ট্যাটু আর্টিস্ট বারন করলে সেই ডিজাইন না করানোই ভালো।
*প্রথম ট্যাটু এমন কোনও জায়গায় করবেন না যাতে সেই জায়গা যত্ন নিতে আপনার অসুবিধা হয়।
*প্রথম ট্যাটুটি আকারে ছোটো হওয়াই ভালো।
*ট্যাটু আর্টিস্টের নকশা পছন্দ না হলে তাঁকে সরাসরি বলুন। অনেক সময় ট্যাটু শিল্পীরা জোর জবরদস্তি নকশা করে দেন। নিজেদের কথার চালে খানিকটা যেন সাময়িকভাবে গ্রাহককে বশ করে ফেলেন। মুখচোরা গ্রাহক কিছু বলতে সাহস করেন না। সেদিকটা খেয়াল রাখবেন।
* ট্যাটু করতে গিয়ে ব্যথা লাগতে শুরু করলেই শিল্পীকে বলুন। তিনি সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
*ট্যাটু করার পর অবশ্যই মনে করে বিল নিয়ে নেবেন।
*ট্যাটু করার পর বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়। যেমন জল লাগানো, হাত দেওয়া কিংবা চুলকানো যায় না। যে সব খাবারে অ্যালার্জি হতে পারে সেসব খাবার একেবারেই খাবেন না।
*ট্যাটু তাড়াতাড়ি শুকোতে নির্দিষ্ট মলম লাগাবেন।
*তিন থেকে সাত দিন কঠোরভাবে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
*ট্যাটু করানোর সময় খরচের কথাটা মাথায় অবশ্যই রাখবেন। কিন্তু মনে রাখবেন সস্তার দিকে ঝুঁকতে গেলে কিন্তু নিজেরই ক্ষতি নিজেই করবেন। ত্বকের বারোটা বাজতেই পারে। তাড়াতাড়ি কালি উঠে যেতে পারে। তাই যেটাই করবেন ভেবে চিন্তে।