গত কয়েক বছর ধরে ‘চোখের দুর্বলতা’ বিশ্বজুড়ে এখন প্রধান চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহারের ফলে চোখের দৃষ্টিগত দুর্বলতা তৈরি হয়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছে। চোখের সমস্যার কারণে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও পারস্পরিক যোগাযোগসহ অনেক কাজেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য এখানে খাদ্য বিষয়ক পাঁচটি পরামর্শ রইল।
ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার
আমেরিকান অপটোমেট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ভিটামিন এ, সি এবং ই ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন সহ চোখের কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য খাবার তালিকায় সাইট্রিক ফল, বাদাম, বীজ, মাছ রাখার ওপর এই অ্যাসোসিয়েশন জোর দিয়েছে।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে ভরপুর পুষ্টিগুণ থাকে, যা আমাদের চোখ সহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই দরকারি। একাডেমি অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়াটিক্স জানিয়েছে, সবুজ শাকসবজিতে লুটিন, জেক্সানথিন, ভিটামিন এবং বিটা-ক্যারোটিন বেশি পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলো চোখকে ইউভি রশ্মি ও বিকিরণ থেকে রক্ষা করে।
পর্যাপ্ত জল পান
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, জল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে, হাইড্রেশনের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। চোখের জন্য ডিহাইড্রেশন ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করতে পারে।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ
ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন, ম্যাডিসনের চক্ষুবিজ্ঞান পরিচালিত বিভাগ ড্যাম আই স্টাডি বলছে, অতিরিক্ত ওজন শরীরকে প্রভাবিত করে চোখের ওপর চাপ বাড়ায়। শুধু চোখের জন্যই নয়, সুস্থ জীবনের জন্যও ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। বয়স ও উচ্চতার সঙ্গে ওজনের একটা সামঞ্জস্য তৈরি করতে হবে।
তামাক ও মাদক ছেড়ে দিন
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদন বলছে, ধূমপানের কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
তারা আরও বলেছে, অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের ছানি পড়ার সম্ভাবনা দুই থেকে তিনগুণ বেশি থাকে।
এই পরামর্শগুলো মেনে চলার পাশাপাশি চোখের দুর্বলতা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।