কমলালেবুর খোসা খেলে শরীরে যা ঘটে, বিস্তারিত জানতে পড়ুন

শীতকালে নিয়মিত কমলা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। সাধারণত কমলা খাওয়ার পর এর খোসা ফেলে দেন কমবেশি সবাই।

তবে জানলে অবাক হবেন, এই খোসা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আবার ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে কমলার খোসা। তাই না ফেলে খেয়ে নিন কমলালেবুর খোসা। এতে শরীরে মিলবে নানা পুষ্টি।

অরেঞ্জ পিল বা কমলার খোসায় আছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ত্বক থেকে শুরু করে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কমলালেবুর খোসা। কমলালেবুর মধ্যে ভিটামিন সি ও নানা পুষ্টিগুণ আছে। যা কমলালেবুর খোসাতেও মেলে।

আর কমলালেবুর খোসাতে যে খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়, সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।কমলালেবুর খোসা ভিটামিন, মিনারেলে ভরপুর। এটি খেলে হজম ভালো হয়, মানসিক চাপ কমে, চিন্তা কমে, মেজাজ ভালো হয়, ত্বক উজ্জ্বল হয়।

কমলালেবুর খোসায় কী কী আছে?

ফাইবার, ভিটামিন সি, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, ক্যালশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি আছে। এগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসায় পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

এছাড়া অ্যান্টি-ক্যানসারিয়াস উপাদানও আছে। সঙ্গে আছে লাইমোনেনের মতো রাসায়নিক যৌগ। এই উপাদানগুলো ক্যানসার বিরোধী। ফলে কমলালেবুর খোসা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়তেও সাহায্য করে।

কমলালেবুর খোসা কীভাবে খাবেন?
এটি সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া কমলালেবুর খোসা স্বাদে তেঁতো। তাই এটি খাওয়ার আগে কমলালেবুর খোসা গরম জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

সরাসরি খাওয়ার জায়গায় সালাদ, স্যান্ডউইচ, স্মুদি ইত্যাদিতে বদলে কমলালেবুর খোসা গ্রেট করে বা কুচিয়ে খেতে পারেন।

এছাড়া কমলালেবুর খোসা গুঁড়া করে তা চায়ে মিশিয়ে পান করতে পারেন। চাইলে কমলালেবুর খোসার জেলি বানিয়েও খেতে পারেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy