কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার ফল, ওজন বেড়েছে। তাই এখন একটাই চিন্তা কীভাবে দ্রুত এই মাত্রাতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলা যায়। তবে যত সহজে শরীরে মেদ লাগে তত তাড়াতাড়ি সেই মেদ ঝরানো সহজ না। এর জন্য ধৈর্য্যে ও কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। তবে কোনও একটা কাজ নয় বরং নিয়মিত শরীরচর্চা, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও পুষ্টিকর খাবার খেলে এই নাছোর ওজনের থেকে মুক্তি মিলবে। তাই আপনি যদি সদ্য এই ফিটনেস জার্নির পথের পথিক হন তা হলে ওজন কমাতে কাজা লাগান এই সব ওয়েট লস টিপ।
সপ্তাহের পাঁচদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রোজ শরীরচর্চা করুন। এটা আপনার হাড় ও মাংশপেশি শক্তি করবে, স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, ভাল ঘুম হবে, উদ্বেগ প্রশমিত করবে এবং এই সব মিলিয়ে ওজন কমবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠার অন্তত দু’ঘণ্টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট করার চেষ্টা করুন। ব্রেকফাস্ট আমাদের শরীরের মেটাবলিজমকে চাগিয়ে তোলে, শরীরে শক্তির সঞ্চার করে, একাগ্রতা বাড়ায় ও গোটা দিনের ক্যালোরি বার্ন করার সুযোগ করে দেয়।
ঘুমোনোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। এটা অভ্যেস করলে ভাল ঘুম হবে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কম করবে, মেটাবলিজম ভাল করে তুলবে, বদহজম হবে না এবং স্থুলতা বা ওজন কম করবে।
দিনে ঘন ঘন জল খান বিশেষ করে এই গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূরে রাখবে। নিয়মিত জল খেলে আমাদের পাচনতন্ত্র ভাল থাকবে। আর পাচনতন্ত্র ভাল থাকলে ওজন কমানোর কাজ আরও সহজ হয়।
দিনের প্রধান দুটি আহারের মধ্যে যদি খিদে পায় তাহলে স্ন্যাক্স বা ফল খান। বাইরের মুখরোচক খাবার বা ফাস্ট ফুডের দিকে হাত না বাড়িয়ে বরং বাড়িতেই চিরে কিংবা মুড়ির সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারেন।
দিনের তিনটি আহারই যাতে প্রত্যেকদিন একই সময়ে খান সেদিরকে নজর দিতে হবে। এর ফলে ওয়ার্কিং আওয়ার্সে শরীর সক্রিয় থাকবে। এর পাশাপাশি এটা আপনার শক্তির স্তর বাড়িয়ে তুলবে ও একাগ্রতাও বজায় রাখবে।