সুন্দর ত্বক পেতে গেলে ভেতর থেকে স্বচ্ছ এবং পরিচ্ছন্ন হতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছে যে ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে ৯ ধরনের প্রোটিন।
প্রাণীজ প্রোটিন
প্রাণীজ প্রোটিনে পুষ্টিকর, উচ্চ চর্বি এবং সোডিয়াম যুক্ত হয়। এতে আছে নানা উপকারী অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন। এতে কোনো সংরক্ষক বা স্যাচুরেটেড চর্বি থাকে না। ফলে তা ত্বকের উপকার করে।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক খাবারের উপর সমীক্ষা করে জানা গেছে সপ্তাহে দুবার স্যামন এবং টুনা জাতীয় মাছ খেলে শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ হয় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এগুলো প্রাণীজ প্রোটিনের ভালো উৎস। যারা পর্যাপ্ত অ্যামিনো অ্যাসিড গ্রহণ করেন তাদের ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে, বলিরেখা এবং বয়সের ছাপ দ্রুত পড়ে না।
ডিম
ডিম প্রোটিনের কঠিন যৌগ এবং লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন নামে দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই দুই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত রাখে। ফলে নিয়মিত ডিম খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য কমে না।
টক দই
প্রোটিন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টক দই ক্যালসিয়ামেরও ভালো উৎস। ঘরে পাতা এক কাপ দইয়ে ২৫ গ্রাম প্রোটিন এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। অন্ত্রে থাকা এই ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোবায়োম গঠন করে। এই মাইক্রোবায়োম আবার দেহের প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া কমায়। এতে ত্বকের নানা সমস্যা যেমন, ব্রণ, চুলকানি ইত্যাদি দূর করে ত্বককে সুস্থ রাখে।
কাঠ বাদাম
নিয়মিত কাঠ বাদাম খেলে মনোপোজের পরে হওয়া মুখের বলিরেখা কমাতে সহায়তা করে। জলখাবার বা অন্য কোনও সময়ে কাঠ বাদাম খাওয়া অভ্যাসে পরিণত করা স্বাস্থ্য এবং ত্বকের পক্ষে উপকারী।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিন
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে সাধারণত প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় কম স্যাচুরেটেড চর্বি সমৃদ্ধ। তাই নিরামিষাশীদের শরীরে অ্যামিনো অ্যাসিডের ঘাটতি পূরণ করতে ব্রাউন রাইস বা সোয়া খাওয়া প্রয়োজন। আরও বেশ কয়েকটি খাবারেও প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে।
ডাল
উদ্ভিজ্জ প্রোটিন এবং শক্তির ভালো উৎস হল ডাল। ডাল যে কেবল প্রোটিনই সরবরাহ করে তা নয় পাশাপাশি এটি ফাইবারে পরিপূর্ণ থাকায় স্বাস্থ্যকরও বটে। এছাড়াও ডাল খেলে শরীরে ফোলিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম ঘাটতি কমে।
ফ্লেক্স সিড (তিসি)
ত্বক ভালো রাখার আরেকটি দুর্দান্ত উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হল ফ্লেক্স সিড বা তিসি। তিন টেবিল-চামচ ফ্লেক্স সিড থেকে ১০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে আছে আলফা লিওলেনিক অ্যাসিড নামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।