সারা বছর শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর এই শুষ্ক ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না করলে ত্বক ফেটে যাওয়া, রুক্ষ ও নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে দীর্ঘক্ষণ থাকার কারণেও ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারাতে পারে। তাই ত্বকের সঠিক ময়েশ্চারাইজেশন অত্যন্ত জরুরি। আর যদি প্রাকৃতিক উপায়ে এই পরিচর্যা করা যায়, তবে তা ত্বকের জন্য আরও বেশি উপকারী।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা সমাধানে মধু এক অসাধারণ প্রাকৃতিক উপাদান। এটি ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে, নিস্তেজ ত্বকে ফিরিয়ে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা, ত্বককে করে তোলে নরম ও কোমল এবং ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। তাই, মধুকে আপনি সহজেই আপনার দৈনন্দিন সৌন্দর্যচর্চার রুটিনের অংশ করে তুলতে পারেন। জেনে নিন, শুষ্ক ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল করে তুলতে মধু কীভাবে ব্যবহার করবেন –
১. মধু, হলুদ ও গ্লিসারিনের মিশ্রণ:
১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া এবং আধা চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
এই পেস্টটি আপনার মুখ ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে শুকোতে দিন।
সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং গ্লিসারিন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।
২. মধু ও পাকা কলার প্যাক:
১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ পাকা কলার পেস্ট ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
তৈরি হওয়া প্যাকটি আপনার মুখে সমানভাবে লাগিয়ে শুকোতে দিন।
প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কলা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
৩. মধু, বেসন ও দুধের স্ক্রাব:
১ টেবিল চামচ বেসন, ২ টেবিল চামচ দুধ এবং ১ টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
তৈরি হওয়া পেস্টটি মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন।
এরপর পেস্টটি শুকোনোর জন্য ছেড়ে দিন।
একেবারে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
বেসন ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং দুধ ত্বককে নরম করে।
৪. মধু ও অ্যালোভেরা জেলের মাস্ক:
২ চা চামচ মধুর সঙ্গে ১ চা চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণটি আপনার মুখে ভালোভাবে লাগান।
আধ ঘণ্টা পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জ্বালাভাব কমায় এবং ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজ করে।
এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার শুষ্ক ত্বককে কোমল, উজ্জ্বল ও ময়েশ্চারাইজড রাখতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে আপনি ত্বকের পার্থক্য নিজেই অনুভব করতে পারবেন।