সল্ট লেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে তখন সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ টুর্নামেন্টে পৃথ্বী শ এবং আর্শিন কুলকার্নির ঝোড়ো ব্যাটিং চলছে। হায়দরাবাদের দেওয়া ১৯২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিধ্বংসী ফর্মে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের ব্যাটাররা। বাউন্ডারি লাইনের ধারে বসে সেই ব্যাটিং তাণ্ডব দেখছিলেন কেকেআর (Kolkata Knight Riders)-এর হয়ে প্রতিভা অন্বেষণে আসা ব্যাটিং ও ফিল্ডিং বিশেষজ্ঞ বিজু জর্জ।
বিজু জর্জ শুধু কেকেআর স্কাউট নন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের বিভিন্ন দলের সঙ্গে কাজ করা একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ এবং সঞ্জু স্যামসন ও জেমাইমা রদ্রিগেজের মতো তারকাদের ব্যক্তিগত কোচ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাটিং আত্মসমর্পণে ক্ষুব্ধ বিজু:
আইপিএলের জন্য নতুন খেলোয়াড় খুঁজতে এসেও বিজু জর্জ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের ‘আত্মসমর্পণ’ দেখে চরম বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। মুস্তাক আলি ট্রফির খেলা দেখার ফাঁকে তিনি ভারতীয় দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “দেশের মাটিতে ভারতীয় ব্যাটিং বারবার এভাবে ভেঙে পড়ছে দেখলে খারাপ লাগে। বরাবর বলা হতো, ঘরের মাঠে ভারত বাঘ। এখন বোলিং বিভাগ শক্তিশালী হওয়ায় বিদেশেও আমরা নিয়মিত জিতছি। কিন্তু ঘরের মাঠে বারবার এভাবে ব্যাটিং বিপর্যয় মেনে নেওয়া কঠিন।”
সেরা কোচকে সরানোর অভিযোগ:
বিপর্যয়ের কারণ কী? বিজু জর্জ সরাসরি কাউকে দোষারোপ না করলেও ভারতীয় দলের কোচিং কাঠামো নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “যেভাবে ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচের পদ থেকে সেরা লোকটাকেই সরিয়ে দেওয়া হল, মানা যায় না।”
তাঁর দাবি, বর্তমানে অভিষেক নায়ারই ভারতের সেরা ব্যাটিং কোচ। বিজু যুক্তি দেন, “রোহিত শর্মা থেকে শুরু করে কে এল রাহুল, দীনেশ কার্তিক—সকলের কেরিয়ার বাঁচিয়ে দিয়েছিল লোকটা। যখন যে দলে থেকেছে, তাদের ব্যাটিংই উপকৃত হয়েছে।”
অভিষেক নায়ারকে সরিয়ে সীতাংশু কোটাককে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে বিজু জর্জ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তাকে (অভিষেক) সরিয়ে দায়িত্বে আনা হল এমন একজনকে, যে কখনও কিছু করেছে বলে মনে করতে পারেন না কেউই।”
উল্লেখ্য, গৌতম গম্ভীর কোচ হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেক নায়ারকে টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ করা হলেও পরে তাঁকে সরিয়ে কোটাককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে অভিষেক নায়ার কেকেআরের কোচ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সঞ্জু-জেমাইমাদের কোচ আশাবাদী, কেকেআরের জন্য অভিষেক দারুণ কাজ করবেন।