ক্রিকেট নয়, একানা স্টেডিয়ামে জয় হলো বিষাক্ত ধোঁয়াশা আর ঘন কুয়াশার! ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি একটি বলও না গড়িয়েই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলো। মাঠের পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় ছিল যে, টস করাও সম্ভব হয়নি। আর এই ঘটনা ঘিরেই বিসিসিআই-এর ‘কান্ডজ্ঞানহীন’ ভেন্যু বাছাই নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া।
৪০০ পার AQI, মাস্ক পরে হার্দিক!
বুধবার লখনউয়ের বায়ু গুণমান সূচক (AQI) ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, টিম ইন্ডিয়ার তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়াকে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে মাঠে ঘুরতে দেখা যায়। সন্ধে ৭টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় গোটা স্টেডিয়াম। দৃশ্যমানতা শূন্যের কাছাকাছি চলে আসায় রাত সাড়ে ৯টায় ম্যাচ বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বোর্ডের পরিকল্পনা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে উত্তর ভারতে কুয়াশা এবং দূষণ অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। তা সত্ত্বেও লখনউ, চণ্ডীগড় বা ধর্মশালার মতো জায়গায় কেন ম্যাচ রাখা হলো, তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। ভক্তদের দাবি:
ভেন্যু বদল: নিউজিল্যান্ড সিরিজের ভেন্যুগুলোর সাথে এই সিরিজের অদলবদল করা যেত কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।
সময়ের পরিবর্তন: রাতে ফ্লাডলাইটে ম্যাচ না রেখে কেন দুপুরে রাখা হলো না, তা নিয়েও বোর্ডকে বিঁধছেন বিশ্লেষকরা।
প্লেয়ারদের ঝুঁকি: গত সপ্তাহে ধর্মশালার হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় খেলতে গিয়ে নাজেহাল হয়েছিলেন ক্রিকেটাররা, এবার লখনউয়ের দূষণ তাঁদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিল।
সিরিজের ফয়সালা হবে মোতেরায়
বর্তমানে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত। লখনউয়ে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় এবার দুই দলই সিরিজের শেষ ম্যাচের জন্য আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবে। বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লাকে মাঠে দেখা গেলেও তাঁর হতাশ শরীরী ভাষা স্পষ্ট করে দিচ্ছিল যে, অপারেশনস টিমের এই পরিকল্পনা ডাহা ফেল করেছে।
টাকা দিয়ে টিকিট কেটে আসা হাজার হাজার ভক্ত যখন রাত ৯টার পর খালি হাতে মাঠ ছাড়ছেন, তখন বিসিসিআই-এর পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজেও কি একই ভুল হবে? উত্তর খুঁজছে ক্রিকেট দুনিয়া।