একদিকে প্রতিশোধের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, অন্যদিকে কপিবুক নিখুঁত ছন্দ। রিয়াধের আলো-ঝলমলে কোর্টে সেই দুই স্রোত এক হলো ইতালীয় তারকা ইয়ানিক সিনারের র্যাকেটে। বিশ্বের একদা এক নম্বর নোভাক জোকোভিচকে সরাসরি সেটে উড়িয়ে দিয়ে সিক্স কিংস স্ল্যামের ফাইনালে জায়গা করে নিলেন তিনি। ফাইনালের প্রতিপক্ষ সেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কার্লোস আলকারাজ।
নিখুঁত সার্ভিসে জোকোভিচকে চূর্ণ
সেমিফাইনালে দুই সেটেই সিনারের ফল ছিল একতরফা—৬–৪, ৬–২। ম্যাচের পরতে পরতে সিনারের সার্ভিসে নিয়ন্ত্রণ ছিল প্রায় অপরাজেয়।
সার্ভের দাপট: তিনি ৪৫টি সার্ভ পয়েন্টের মধ্যে মাত্র আটটি হারিয়েছেন এবং মারেন ১০টি এস (Ace)। সবচেয়ে বড় বিষয়, প্রথম সার্ভ কোর্টে ঢুকেছে ৮১ শতাংশ হারে।
ম্যাচ শেষে হাসিমুখে সিনার বলেন, “হ্যাঁ, আজ সত্যিই সার্ভটা নিখুঁত ছিল। প্রতিদিন এমন হবে না। কিন্তু গত এক মাস ধরে শুধু এই নিয়েই কাজ করেছি। ঘন্টার পর ঘন্টা সার্ভ প্র্যাকটিস করেছি—আজ তার ফল পেলাম!”
জোকোভিচের স্বীকারোক্তি
নিজের পরাজয় মাথা পেতে মেনে নেন জোকোভিচও। রসিকতা করে তিনি বলেন, “মাফ করবেন, কিন্তু যখন কেউ কোর্টে তোমাকে এমনভাবে হারায়, সেটা মোটেই ভালো লাগে না!” তবে হারের পর তিনি স্বীকার করেন—এই প্রজন্মের সেরাদের বিরুদ্ধে খেলাটাই তাঁকে অনুপ্রাণিত রাখে।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সার্ব তারকা মুখোমুখি হবেন টেলর ফ্রিটজের (Taylor Fritz) বিরুদ্ধে, যাঁর বিরুদ্ধে জোকোভিচের রেকর্ড এখনও পর্যন্ত ১১–০।
আলকারাজের তুলনাহীন স্ট্রোক প্লে
দিনের অন্য সেমিফাইনালে আলকারাজও নিজের চেনা ছন্দে ফিরেছেন। চোট সারিয়ে কোর্টে ফিরেই তিনি ৬–৪, ৬–২ ব্যবধানে উড়িয়ে দেন ফ্রিটজকে। ড্রপশট, রানিং ফোরহ্যান্ড, ডাউন দ্য লাইন ব্যাকহ্যান্ড—সব মিলে তাঁর স্ট্রোক প্লে ছিল তুলনাহীন।
ম্যাচ শেষে আলকারাজ বলেন, “আজ শুধু জেতার নয়, দর্শকদের বিনোদন দেওয়ারও ইচ্ছে ছিল। মনে হচ্ছে, ওরা খুশি, আমিও তাই!”
তিন দিনের এই বিলাসবহুল প্রদর্শনী টুর্নামেন্টে বিশ্বের সেরা ছয় তারকা অংশ নিয়েছেন। প্রত্যেকে ১.৫ মিলিয়ন ডলারের উপস্থিতি ফি পাচ্ছেন, এবং বিজেতার জন্য পুরস্কার ৪.৫ মিলিয়ন ডলার।