আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। স্বাগতিকদের পক্ষে মহম্মদ সিরাজ এবং জসপ্রীত বুমরাহর দাপটে ক্যারিবিয়ানরা মাত্র ১৬২ রানে অলআউট হয়ে যায়। লাল বলের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া টেস্ট ক্রিকেটে দুই-স্তরীয় (two-tier) কাঠামোর বিতর্ককে নতুন করে উসকে দিয়েছেন। (NDTV সূত্র)
ক্রিকেটার থেকে পন্ডিত বনে যাওয়া চোপড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিওতে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের টেস্ট ক্রিকেটে নিম্ন গড় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
চোপড়া বলেন, “আপনি যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে দেখেন, তাহলে সবার গড় কুড়ির ঘরে। চন্দরপলের গড় সবেমাত্র ৩১.১১। অর্থাৎ, মাত্র একজন ব্যাটসম্যানের গড় ৩০-এর বেশি, এবং সেটিও ৩৫-এর মতো নয়, আর বাকিদের গড় ২৫-এর কাছাকাছি। এতগুলি টেস্ট ক্রিকেট খেলার পরেও যদি দলের সদস্যদের এমন গড় থাকে, তবে স্পষ্টতই তাদের মধ্যে কোনো শক্তি নেই। তারা টেস্ট ক্রিকেট খেলছে, কিন্তু তারা কি টেস্ট খেলার মতো যথেষ্ট ভালো?”
আকাশ চোপড়ার চোখে প্রতিযোগিতা কোথায়?
বিশ্ব ক্রিকেটে কিছু টেস্ট দলের মধ্যে পারফরম্যান্সের ব্যাপক তারতম্য দেখা দেওয়ায় অনেকেই এখন দুই-স্তরীয় পদ্ধতির প্রস্তাব দিচ্ছেন, যেখানে ১২টি পূর্ণ সদস্য দেশকে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দুটি বিভাগে ভাগ করা হবে। প্রথম বিভাগে থাকবে শীর্ষ র্যাঙ্কযুক্ত দলগুলি (সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড), আর দ্বিতীয় বিভাগে থাকবে বাকি পূর্ণ সদস্য এবং কিছু সহযোগী সদস্য দেশ।
আকাশ চোপড়ার মতে, ভারতের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দুর্বল পারফরম্যান্স সেই দুই-স্তরীয় ব্যবস্থার সমর্থকদের যুক্তিতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।
তিনি যোগ করেন, “এখন, টেস্ট ক্রিকেটে কি টিয়ার সিস্টেম থাকা উচিত? এই সিরিজটি এই বিতর্কের আগুনে জ্বালানি যোগ করে। WTC (বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ)-এর উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে উত্তেজনা আনা, যেখানে দলগুলো পয়েন্টের জন্য লড়াই করবে—এটা শুনতে ভালো লাগে। পয়েন্টের গুরুত্ব আছে, কিন্তু প্রতিযোগিতা নিয়ে আসবেন কোথা থেকে? গত ২০-২২ বছরে আপনি তাদের কাছে একটিও টেস্ট হারেননি, তাহলে প্রতিযোগিতা কোথায়?”