গরমে নতুন এসি কিনছেন? AC কেনার আগে দেখেনিন এই ৫ টি বিশেষ বিষয়

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। অনেকেই এই গরমে নতুন এসি কেনার কথা ভাবছেন। তবে এসি ব্যবহারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা থাকে এর বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে। কিন্তু মনে রাখবেন, সঠিকভাবে এবং কিছু বিষয় মেনে এসি ব্যবহার করলে বা কিনলে খুব বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয় না। যারা নতুন এসি কিনবেন, তাদের জন্য রইল কিছু জরুরি টিপস, যা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং সঠিক এসি বাছাইয়ে সহায়ক হবে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের এসি পাওয়া যায়। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক এসি বাছাই করতে পারলে যেমন ভালো মানের ডিভাইস কেনা সম্ভব, তেমনই বিদ্যুতের বিলও সাশ্রয় করা যায়। তাই কেনার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই নজরে রাখা উচিত।

নতুন এসি কেনার জরুরি টিপস:
এসির মাপ বা সাইজ: সবার আগে আপনার ঘরের মাপ অনুযায়ী এসির সাইজ বা ক্ষমতা (টনে) বাছাই করুন। ছোট্ট ঘরের জন্য সাধারণত ১ টন এসিই যথেষ্ট। তুলনায় বড় ঘরের জন্য ১.৫ টন থেকে ২ টনের এসি আদর্শ। ঘরের আয়তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এসি কিনলে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে এবং বিদ্যুতের অপচয় কম হবে।

উইনডো না স্প্লিট এসি?: আপনার ঘরের আকারের উপর নির্ভর করে উইনডো না স্প্লিট এসি কিনবেন, তা ঠিক করুন। ঘর ছোট্ট আকৃতির হলে উইনডো এসিই যথেষ্ট এবং এটি ইনস্টল করাও বেশ সহজ। কিন্তু বড় ঘরের জন্য স্প্লিট এসি বেশি কার্যকর এবং এর থেকে আওয়াজও তেমন বেরোয় না।

স্টার রেটিং দেখুন: এসি কেনার সময় এর স্টার রেটিং দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ, ৫-স্টার রেটিং যুক্ত এসিগুলি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়। এর ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুতের বিলের বোঝাও অনেকাংশে কমে যায়। যত বেশি স্টার, তত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়।

বাজেট ও খরচ: নিজের বাজেট অনুযায়ী এসির দাম নির্ধারণ করা উচিত। তবে শুধু কেনার দামই নয়, এর পাশাপাশি ইনস্টলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কতটা হতে পারে, সেই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে। এসি কেনার জন্য সব সময় বিভিন্ন সময়ে আসা অফারের জন্য অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ উৎসবের মরসুমে বা সিজন চেঞ্জের সময় অনেক সময় এসির উপর প্রচুর ডিসকাউন্ট বা ছাড় পাওয়া যায়।

ভালো ব্র্যান্ড বাছুন: একটি ভালো ব্র্যান্ডের এসি কিনতে চেষ্টা করুন। কারণ ভালো ব্র্যান্ডগুলি সাধারণত ভালো ওয়ারেন্টি এবং বিক্রয়োত্তর পরিষেবা প্রদান করে। ভবিষ্যতে এসি সংক্রান্ত নানা রকম সমস্যা থেকে বাঁচতে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাডভান্সড ফিচার: বর্তমানে প্রায় সব এসিতেই একাধিক অ্যাডভান্সড ফিচার দেখা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো ওয়াই-ফাই কানেক্টিভিটি, অটো ক্লিন অপশন, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার ইত্যাদি। এই ফিচারগুলো এসি ব্যবহারকে আরও সহজ এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। নিজের প্রয়োজন বা চাহিদা অনুযায়ী ফিচার বেছে নিতে পারেন।

অনলাইন রিভিউ ও রেটিং: এসি কেনার ক্ষেত্রে সবার আগে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্টটির রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া আবশ্যক। এতে প্রোডাক্টের গুণমান এবং পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে, এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে আপনি যেমন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা এসিটি বেছে নিতে পারবেন, তেমনই বিদ্যুতের খরচও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy