বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, নন্দীগ্রামের মতোই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেও হারিয়ে দেখাবেন। এই চ্যালেঞ্জের আবহে মঙ্গলবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে জোরালো ইঙ্গিত মিলল—আগামী নির্বাচনেও সম্ভবত এই কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে ভবানীপুরের কর্মী-নেতাদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথাও গোপন করেননি তিনি।
‘প্ল্যান করে বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে’
বিজেপি-র নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পরিকল্পনা করেই বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন:
“ভবানীপুর আমার নিজের কেন্দ্র। কর্মীরাই আমাদের সম্পদ।”
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নতুন করে নাম তুলতে হলে, দেখতে হবে। ভবানীপুরে বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্ল্যান করে। বস্তি ভেঙে বড় বাড়ি করা হচ্ছে। এটা আমি সমর্থন করি না। এগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।”
তিনি ভোটার তালিকায় বিশেষ নজরদারি বা এসআইআর (SIR) নিয়েও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
শীর্ষ নেতাদের ইঙ্গিতে জল্পনা আরও জোরালো
এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর ভবানীপুর থেকে লড়ার জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে:
সুব্রত বক্সি: তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও ইঙ্গিত দিয়েছেন, সম্ভবত ভবানীপুর থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফিরহাদ হাকিম: কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীকে এক লক্ষ ভোটে জেতানোর জন্য কর্মীদের কাছে আবেদন জানান।
ফলস্বরূপ, রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে, শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে তৃণমূল নেতৃত্ব সম্ভবত ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর ‘নিজের কেন্দ্র’ ভবানীপুর থেকেই লড়াইয়ে নামানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন।