ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (DGCA)-এর জারি করা নয়া নির্দেশিকার পরই চরম সংকটে পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ বিমান সংস্থা IndiGo। কর্মীসঙ্কটের কারণে সৃষ্ট এই বিমান বিপর্যয়ে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের প্রায় ৫৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর, আজ শুক্রবারও প্রায় ৪০০টি বিমান বাতিল করেছে সংস্থাটি। এর ফলে গত দু’দিনে মোট প্রায় ১০০০ বিমান বাতিল হলো, যা ইন্ডিগোর ২০ বছরের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা।
দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং পুনের মতো প্রধান বিমানবন্দরগুলিতে বিপুল সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বহু যাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করে অবশেষে কর্মীসঙ্কটের কথা স্বীকার করে নিয়ে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে IndiGo।
ক্ষমা চেয়ে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিকের আশ্বাস ইন্ডিগোর
সংস্থার তরফে জারি করা বিবৃতিতে ফ্লাইট বাতিল এবং উড়ানে দেরির কথা স্বীকার করা হয়েছে। যাত্রীদের ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে IndiGo জানিয়েছে, তারা বর্তমানে Ministry of Civil Aviation, DGCA, BCAS এবং AAI-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে যে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করা হবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য বাতিল হওয়া এবং দেরিতে ছাড়া বিমানের তালিকা তাদের অফিসিয়াল পোর্টালে নিয়মিত আপডেট করা হচ্ছে।
কোথায় কত বিমান বাতিল?
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ডোমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল মিলিয়ে IndiGo-র মোট ১৫০টি বিমান বাতিল হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রধান বিমানবন্দরে বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ:
-
মুম্বই: ১১৮টি
-
বেঙ্গালুরু: ১০০টি
-
হায়দরাবাদ: ৭৫টি
-
কলকাতা: ৩৫টি
-
চেন্নাই: ২৬টি
আসরে DGCA, ১০ ফেব্রুয়ারির ডেডলাইন
এই নজিরবিহীন বিপর্যয়ের পর আসরে নেমেছে DGCA। বিমান সংস্থাকে ক্রু নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং রোস্টার ঢেলে সাজার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। IndiGo কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তারা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল কার্যক্রমে ফিরে আসবে। তবে বিমান পরিবহন বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সময়সীমার আগে যাত্রীদের ভোগান্তি কমার কোনো আশু সম্ভাবনা নেই।