চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ধোঁয়াশার কারণে বাতিল হওয়ার পর এবার মুখ রক্ষার লড়াইয়ে নামল উত্তরপ্রদেশ সরকার। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছিল মাত্রাতিরিক্ত দূষণকে। কিন্তু সেই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে এবার পাল্টা পরিসংখ্যান পেশ করল যোগী প্রশাসন।
AQI বিভ্রাট: সরকার বনাম বেসরকারি অ্যাপ ম্যাচের সময় বিভিন্ন বেসরকারি অ্যাপে লখনউয়ের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৪৯০ অর্থাৎ ‘ভয়াবহ’ স্তরে দেখানো হচ্ছিল। তবে এই তথ্যকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছে সরকার। তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওইদিন গড় AQI ছিল মাত্র ১৭৪, যা সাধারণ মানের কাছাকাছি। সরকারের দাবি, বিদেশী বা বেসরকারি অ্যাপগুলো ত্রুটিপূর্ণ সেন্সর বা স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে, যা জনমানসে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
মাস্ক পরে হার্দিক, নেটিজেনদের ক্ষোভ: ম্যাচ বাতিল হলেও মাঠে নামার সময় হার্দিক পাণ্ডিয়াকে মাস্ক পরে থাকতে দেখা যায়। এই ছবি ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন সমর্থকরা। তাঁদের প্রশ্ন, যদি দূষণ না-ই থাকে, তবে কেন ভারতীয় অধিনায়ককে মাস্ক পরতে হলো? যদিও প্রশাসন এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের মতে, সরকারি স্টেশনগুলোর (লালবাগ, তালকাটোরা) বৈজ্ঞানিক তথ্যই একমাত্র গ্রহণযোগ্য।
উত্তরের অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব: সরকার দূষণের কথা মানতে না চাইলেও বড় প্রশ্নটি রয়েই যাচ্ছে— যদি সব ঠিক থাকে, তবে কেন কুয়াশা বা ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা থাকল গোটা স্টেডিয়াম? কেন ছ’বার পিচ পরিদর্শন করেও আম্পায়াররা টস করার সাহস পেলেন না? লখনউয়ের আকাশে ওই রহস্যময় ধোঁয়াশার প্রকৃত কারণ কী, তার সদুত্তর মেলেনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এই ঘটনা বড় লজ্জার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দূষণ না কুয়াশা— এই বিতর্কের আড়ালে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটই যে হেরে গেল লখনউতে, তা বলাই বাহুল্য।