দত্তাবাদে ওড়িশার সোনার ব্যবসায়ী স্বপন কামিলাকে অপহরণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। এই মামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত রাজগঞ্জের বিডিও (WBCS) প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হল বিধাননগর কমিশনারেট। শুক্রবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে এই আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে বিডিও প্রশান্ত বর্মনের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তের একাধিক ব্যক্তি এবং কলকাতায় তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করেই বিডিও-র বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারি এড়াতে প্রশান্ত বর্মন কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বললেও, এখনও পর্যন্ত শীর্ষ আদালতে কোনো মামলা তালিকাভুক্ত হওয়ার খবর মেলেনি।
একজন পদস্থ সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠায় প্রশাসনিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, “তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।” এখন দেখার, বিধাননগর মহকুমা আদালত এই গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদনে সাড়া দেয় কি না। আদালতের সবুজ সংকেত পেলেই রাজগঞ্জের বিডিও-র গ্রেফতারি সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।