দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি সন্দেহে পুশব্যাক হওয়া অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি (Sonali Bibi) এবং তাঁর নাবালক পুত্র। শুক্রবার সন্ধ্যায় মালদার মহদীপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে তাঁরা ভারতে প্রবেশ করেন। মানবিকতার খাতিরে সোনালিকে ফিরিয়ে আনার জন্য গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল।
ফেরার পরও বিতর্ক:
সোনালি বিবি দেশে ফিরলেও এদিনের ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিএসএফ জওয়ানরা সোনালির সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে কথা বলার অনুমতি দেননি। যদিও কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছিল যে সোনালি বিবিকে ফিরিয়ে আনা হবে, তবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জোর দিয়ে দাবি করেন, সোনালি বিবিরা বাংলাদেশি। ফলে সোনালি ফিরলেও তাঁর স্বামী ও পরিবারের বাকি সদস্যরা কবে ভারতে ফিরতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির ক্ষোভ:
এদিন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি কেন্দ্রের পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,
“দিল্লিতে থাকাকালীন শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তাঁকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে দেওয়া হয়েছিল। আজ সীমান্তে ছ’জনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক। কিন্তু গেট থেকে ছাড়া হয়েছে সোনালি খাতুন ও তাঁর সন্তানকে। বাকি চারজনকে ছাড়া হলো না কেন? গেটে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো উত্তর না দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। বাকি চারজন কবে দেশে ফিরবেন জানি না।”
সভাধিপতির এই মন্তব্যে রাজ্য-রাজনীতিতে বিতর্ক আরও বেড়েছে। বাংলাভাষী হওয়ায় বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে।