বিয়ের নানা আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে এমন একটি দৃশ্য তৈরি হলো, যা উপস্থিত সকলকে শুধু অবাকই করেনি, একইসঙ্গে সমাজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের সাহাবুদ্দিনপুর গ্রামে কনে অদিতি সিংয়ের বাড়িতে ‘গোরা তিলক’ পরম্পরা পালনের সময় এই ঘটনা ঘটে।
৩১ লক্ষ টাকা প্রত্যাখ্যান
বিয়েতে উপস্থিত পাত্র-পাত্রী এবং অতিথিরা যখন প্রথাগত রীতি দেখছিলেন, তখনই কনের পিতা তাঁর হবু জামাইয়ের হাতে ৩১ লক্ষ টাকা তুলে দিতে যান। পণ হিসেবে ধরা এই দৃশ্যটি চেনা হলেও, এরপর যা ঘটল তা ছিল নজিরবিহীন।
-
বরের সিদ্ধান্ত: সকলকে অবাক করে দিয়ে পাত্র অবধেশ রাণা বিয়ের মণ্ডপে সকলের সামনেই ওই বিপুল অঙ্কের টাকা নিতে অস্বীকার করেন।
-
হাতজোড় করে প্রত্যাখ্যান: অবধেশ হাতজোড় করে তাঁর হবু স্ত্রীর পিতাকে জানান যে, এই টাকা তিনি নিতে পারবেন না।
-
সাধুবাদ: আপেক্ষিক চমক কাটিয়ে উপস্থিত সকলেই নাগওয়া গ্রামের বাসিন্দা অবধেশ রাণার আচরণকে সাধুবাদ জানান।
সমাজকে স্পষ্ট বার্তা
অবধেশ রাণা স্পষ্টই জানান যে, তিনি পণ প্রথার ঘোর বিরোধী। তিনি মনে করেন, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক পিতাকেই সারাজীবনের রোজগারের কিছুটা অংশ বাঁচাতে হয়, তার পরেও অনেককে ঋণ নিতে হয় এই পণ মেটানোর জন্য।
অবধেশ বার্তা দেন যে, এই প্রথা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। তাঁর এই সাহসী এবং সৎ আচরণের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শুধু ওই বিয়ের অতিথি নন, সারা দেশ অবধেশের এই আচরণে মুগ্ধ হয়েছে এবং তাঁর এই পণ বিরোধী বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।