দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে সরাসরি শাসকদলের যোগের অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার দুর্গাপুরে নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, পুলিশ যে শেখ নাসিরুদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে, স্থানীয়রা তাকে তৃণমূলের লোকাল ক্যাডার বলে জানাচ্ছেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বোঝাই যাচ্ছে শাসকই শোষক যেখানে, সেখানে আর আইনের শাসন থাকবে, তা আশা করা যায় কি?”
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে, নির্যাতিতার চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “চিকিৎসকের সঙ্গে আমায় তো দূর অস্ত, বাবা-মাকেও দেখা করতে বা কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।” বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তৃণমূল কিংবা পুলিশের তরফে হাসপাতালের চিকিৎসককে চাকরি চলে যাওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে, তাই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট সম্পর্কিত কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না বাবা-মাকে।
শুভেন্দু অধিকারী জানান, নির্যাতিতার বাবা মেয়েকে নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তিনি তাঁর মেয়েকে এই রাজ্যে নিরাপদ মনে করছেন না। তাই তিনি নির্যাতিতাকে চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বর এইমস (AIIMS)-এ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়ের চিকিৎসার জন্য ৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে এখানে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু সেটিও আর জারি রাখতে চাইছেন না তাঁরা।’ বিরোধী দলনেতা আরও জানান যে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনা শুনে নিজে নির্যাতিতার বাবাকে ফোন করে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘অথচ আমাদের রাজ্যে এই ঘটনা ঘটল আর মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারলেন না। মিরিকে চলে গেলেন।’
উল্লেখ্য, এই গণধর্ষণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সহপাঠীর বিরুদ্ধে সন্দেহের তীর থাকলেও পুলিশ তাঁকে এখনও হেফাজতে নেয়নি।