সমালোচনার মুখে অ্যাপে ফিরল বিএলও-র ক্ষমতা, ম্যাপিং-আনম্যাপিং অপশন চালু হতেই ১৮ ঘণ্টা ধরে বন্ধ অ্যাপ, থমকে ডিজিটাইজেশন

ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জনের কাজ চলাকালীন সমালোচনার মুখে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের (BLO) ক্ষমতা ফিরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। বিএলও অ্যাপে (BLO App) পূরণ করা ইনিউমারেশন ফর্ম যাচাই এবং ভোটারদের তালিকায় ম্যাপিং বা আনম্যাপিংয়ের অপশন ফের চালু করা হয়েছে।

অ্যাপে ফেরা অপশন ও নতুন ড্যাশবোর্ড

এর আগে এই ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কমিশন। এই বিশেষ ট্যাব ফিরে আসায় এখন:

  • যাচাই ও বাতিল: বিএলওরা আগের মতোই আপলোড করা কোনো ইনিউমারেশন ফর্ম নিয়ে সন্দেহ হলে তা যাচাইয়ের সুযোগ পাবেন এবং চাইলে কোনো সন্দেহজনক ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদও দিতে পারবেন।

  • অনলাইন ফর্ম ট্র্যাকিং: বুথে কতজন ভোটার অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছেন, তা যাচাই করার ট্যাবও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • নতুন ট্যাব: অ্যাপে ড্যাশবোর্ড নামে নয়া একটি ট্যাব যুক্ত হয়েছে। এই ট্যাবে ক্লিক করে বিএলওরা বুঝতে পারবেন, তাঁদের হাতে থাকা কত ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে এবং কত বাকি রয়েছে।

সুবিধা ফিরলেও ভোগান্তি

বিএলওরা এই অপশনগুলি ফিরে আসায় সুবিধা হয়েছে জানালেও অভিযোগ করেছেন, আরও কিছু দিন আগে এই অপশনগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হলে কাজে আরও সুবিধা হত। সবচেয়ে বড় বিপত্তি হলো, অ্যাপে পুরোনো অপশন ও নতুন ড্যাশবোর্ডের ট্যাব চালু হতেই গতকাল প্রায় টানা ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা বিএলও অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায়।

  • কাজের স্থবিরতা: বহু চেষ্টা করেও লগ-ইন করা যায়নি। এদিকে ইনিউমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষের নির্ধারিত সময়সীমা (৪ ডিসেম্বর) দ্রুত এগোচ্ছে। ফলে রীতিমতো ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিএলওরা।

  • অগ্রগতি: বুধবার পর্যন্ত রাজ্যে ৭৮.৪২ শতাংশ ইনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছিল। কমিশন সূত্র অনুযায়ী, চরম বিভ্রাটের কারণে অগ্রগতি কম হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮২.৯১ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে।

যে অ্যাপের মাধ্যমে এসআইআর-এর বিশাল কর্মকাণ্ড নির্ভরশীল, সেই অ্যাপই যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে কীভাবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব—এমন প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy