২০১৪ সালে ইতালিতে পরিচালক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়। কিন্তু বলিউডের এই তারকা দম্পতির বিয়ের সেই একান্ত ছবিগুলি আজও রয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিয়ের সাজে রানিকে কেমন লাগছিল, সেই কৌতূহল আজও মেটেনি ভক্তদের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখার এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ ফাঁস করলেন রানি।
ছবি লুকিয়ে রাখার আসল কারণ কী?
রানি মুখোপাধ্যায় এবং আদিত্য চোপড়া নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন সোশ্যাল মিডিয়া ও খবরের শিরোনাম থেকে দূরে রাখতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। সাক্ষাৎকারে রানিকে মজার ছলেই জিজ্ঞাসা করা হয়, বিয়ের সিলভার জুবিলি (২৫ বছর পূর্তি)-র সময় তিনি ছবিগুলি প্রকাশ্যে আনবেন কিনা?
জবাবে অভিনেত্রী বলেন, “মনে হয়, এটা খুবই দুর্দান্ত ধারণা। আসলে আমি ও আমার স্বামী আমাদের যে কোনও বিষয়কে ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করি। আদিত্য চেয়েছিল আমাদের বিয়েটা খুব ব্যক্তিগত পরিসরে হোক। তাই আমার মনে হয় না আমার স্বামী কোনওদিন চাইবে বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসুক।” রানির কথায় স্পষ্ট, তাঁর স্বামীর একান্ত ইচ্ছাতেই ছবিগুলি আজও গোপন রয়ে গিয়েছে।
‘সবকিছু সবার কাছে উন্মুক্ত করা উচিত নয়’
ব্যক্তিগত জীবনকে আড়ালে রাখার বিষয়ে রানি তাঁর নিজস্ব দর্শনও তুলে ধরেছেন। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর টিনা বলেন, তিনি সব সময়ই নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগত রাখতেই পছন্দ করেন, কারণ তাঁর কাজ ও নিজের জীবন সম্পূর্ণ আলাদা।
তিনি মনে করেন, কিছু জিনিস গোপন রাখা উচিত:
“আমি মনে করি কিছু জিনিস আপনাকে নিজের কাছেই রাখা উচিত। আপনার চারপাশের পরিবেশটা রক্ষা করা উচিত। আপনি সবার কাছে সবকিছু হতে পারবেন না, কারণ আমরা ইতিমধ্যেই এত উন্মুক্ত, এবং সেই প্রকাশই যথেষ্ট। কিছু জিনিস গোপন রাখা উচিত, যেমন আপনি কোথায় যান, আপনি কী করেন, আপনার পরিবারের সঙ্গে আপনি কী করেন এগুলো।”
রানি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না কোনও কারণ থাকছে, ততক্ষণ তিনি জনসমক্ষে আসেন না। এই কঠোর গোপনীয়তার নীতিই তাঁকে ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাদার জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রানি ও আদিত্য চোপড়ার বৈবাহিক জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখার এই সিদ্ধান্ত, তারকা জগতে এক বিরল উদাহরণ তৈরি করেছে।