কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট একাডেমি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত রঞ্জি ট্রফির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলা বনাম আসামের লড়াই শেষ হল ড্র’তে। টসে জিতে বাংলাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে আসাম প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ২০০ রানে। বাংলার হয়ে পেসার মহম্মদ শামি এবং স্পিনার সুরাজ সিন্ধু জয়সওয়াল ৩টি করে উইকেট নিয়ে দাপট দেখান। অধিনায়ক সুমিত ঘড়িগাঁওকারের (৫৩) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস সত্ত্বেও বড় স্কোর করতে পারেনি আসাম।
জবাবে, বাংলা তাদের প্রথম ইনিংসে বিশাল ৪৪২ রান তুলে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছায়। দলের ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ (৬৬), শাকির হাবিব গান্ধী (৫৮) এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের (৪৩) দৃঢ় ব্যাটিংয়ের পর মিডল অর্ডারে ঝড় তোলেন শাহবাজ আহমেদ। তিনি দুর্দান্ত ১০১ রানের এক সেঞ্চুরি হাঁকান। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন সুমন্ত গুপ্ত (৯৭)। আসামের পক্ষে মুখতার হুসেন, আবদুল আজিজ কুরাইশি, আকাশ সেনগুপ্ত এবং ঋতুরাজ বিশ্বাস ২টি করে উইকেট নেন।
২৪২ রানের বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে আসাম প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিতে পারেনি। তৃতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা ৯৮ রান তোলে। শেষ দিনে বাংলার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু আসামের তিন ব্যাটার ডেনিশ দাস (৭৩), অধিনায়ক সুমিত ঘড়িগাঁওকার (৬৭) এবং শিবশঙ্কর রায় (৫২) কার্যত ক্রিজ আঁকড়ে ধরে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ডেনিশ ও সুমিতের ১১১ রানের পার্টনারশিপ বাংলাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়।
আসাম চতুর্থ দিনে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান তোলার পরই খেলা ড্র ঘোষণা হয়। বাংলার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৪ উইকেট নেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচের সেরা (Man of the Match) নির্বাচিত হন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
-
আসাম ১ম ইনিংস: ২০০
-
বাংলা ১ম ইনিংস: ৪৪২
-
আসাম ২য় ইনিংস: ২৮২/৯ (ড্র)