গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লা এলাকায় চলন্ত গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল এনআইএ (NIA)। বৃহস্পতিবার এই মামলার নবম অভিযুক্ত হিসেবে শ্রীনগরের সোপিয়ান থেকে ইয়াসির আহমেদ দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ইয়াসির কেবল এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম মূল কারিগরই নয়, সে রীতিমতো ‘বায়াত’ বা আনুগত্যের শপথ নিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রতিজ্ঞা করেছিল।
তদন্তে উঠে আসা বিস্ফোরক তথ্য:
-
খতম জঙ্গির ঘনিষ্ঠ: ইয়াসির ওইদিনের আত্মঘাতী হামলাকারী উমর উন নবি (যিনি গাড়িতে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন) এবং মুফতি ইরফানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত।
-
বিপজ্জনক নেটওয়ার্ক: এই নিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। এর আগে ফরিদাবাদ থেকে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক এবং ডঃ বিলাল নাসির মাল্লার মতো শিক্ষিত পেশাদারদের এই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
-
আদালতের নির্দেশ: ইয়াসিরকে দিল্লির বিশেষ আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনআইএ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
-
বিস্তৃত ষড়যন্ত্র: ফরেনসিক তদন্তে জানা গেছে, আত্মঘাতী হামলাকারী উমর ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ছিল। একটি আই-২০ (i20) গাড়িকে আইইডি (IED) দিয়ে চলন্ত বোমা বানিয়ে ১৫ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল।
এনআইএ বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে তল্লাশি চালিয়ে এই আন্তর্জাতিক মানের জঙ্গি নেটওয়ার্কের শিকড় উপড়ে ফেলার চেষ্টা করছে।