লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা জালিয়াতির ঘটনা রাজ্যে নতুন নয়। কিন্তু এবার মহেশতলায় প্রায় ৬০ জন উপভোক্তার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ একটি সুসংগঠিত চক্রের দিকে ইঙ্গিত করছে। এই চক্র কীভাবে এতগুলি অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে এবং মুর্শিদাবাদের মতো দূরবর্তী জায়গায় টাকা সরিয়ে দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ভুক্তভোগী নাগমা বেগমের কথায়, “আমি তিন বছর ধরে টাকা পাইনি। পুরসভায় গিয়ে জানতে পারলাম আমার টাকা ‘সাকসেসফুল’ দেখাচ্ছে। পরে এসপি অফিসে গিয়ে জানতে পারলাম যে টাকা মুর্শিদাবাদের একটি অ্যাকাউন্টে ফ্রড হয়েছে।” এই ধরনের জালিয়াতিতে সাধারণত আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য অথবা আধার লিঙ্ক করা তথ্যের অপব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনোভাবে তথ্য চুরি করা হয়েছে, নাকি অন্য কোনো কারসাজি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। তাহলে মাঝের এই জালিয়াতি কীভাবে সম্ভব? এই ঘটনায় প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং সাইবার সুরক্ষার দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ডায়মন্ড হারবার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ায় আশা করা যায়, পুলিশ এই চক্রের মূল হোতাকে ধরতে সক্ষম হবে। তবে এই ঘটনা আবারও সরকারি প্রকল্পের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় সুরক্ষার গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে।