রাজ্যের জল-যন্ত্রণার মাঝে রামপুরহাটে দেওয়াল ধসে মৃত্যু, শোকের ছায়া আদিবাসী পরিবারে

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অতি বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাট, মাঠ-ঘাট সব জলমগ্ন। এই জল-যন্ত্রণা শুধু মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেই ব্যাহত করছে না, কেড়ে নিচ্ছে প্রাণও। বৃহস্পতিবার এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল বীরভূমের রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের সুফলকুড়ি গ্রামে। প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে মাইতি টুডু (৩৬) নামে এক আদিবাসী মহিলার।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরবেলা মাইতি টুডু এবং তার মেয়ে বাড়ির উঠোনে ঘুমাচ্ছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যরা বাড়ির ভেতরে ছিল। লাগাতার বৃষ্টির কারণে দুর্বল হয়ে পড়া বাড়ির মাটির দেওয়াল হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এর ফলে মা ও মেয়ে দু’জনেই দেওয়ালের নিচে চাপা পড়েন। বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসেন পরিবারের অন্য সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা।

দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। অনেক চেষ্টার পর দেওয়ালের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে মেয়েটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু মাইতি টুডুকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত মাইতি টুডুর দেহ রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর বিকেলে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শেষকৃত্যের জন্য দেহ সুফলকুড়ি গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই ধরনের দুর্বল বাড়িগুলির বিষয়ে নজর দেওয়া এবং বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy