দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া গণধর্ষণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেন, নির্যাতিতার চিকিৎসা পদ্ধতি এবং শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকদের মুখ খুলতে বারণ করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের মুখ বন্ধের অভিযোগ:
হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চেয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, চিকিৎসকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, “গ্রেফতারি, শাস্তির আগেও আমি যেটা চেয়েছিলাম, মেয়েটা কেমন আছে, ডাক্তারদের কাছ থেকে শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ডাক্তারদের বলে দেওয়া হয়েছে, ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে, যাতে মুখ খুলতে না। আমার কাছে তো নাই—, জাতীয় মহিলা কমিশন আসছে, তাঁদের কাছে যেন মুখ না খোলে। ডাক্তারদের মুখ খোলা, কথা বলা বারণ, যদি মুখ খোলেন, চাকরি চলে যাবে।”
চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ:
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, নির্যাতিতার বাবার হাতেও চিকিৎসা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য খোলাখুলিভাবে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কথায়, “আমরা খুবই উদ্বিগ্ন মেয়েটার চিকিৎসা নিয়ে। কারণ বাবাকেও কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। মেডিক্যাল রিপোর্ট হ্যান্ডওভার হয়নি। গোটা বিষয়টি ঘোলাটে। আমি চেয়েছিলাম, চিকিৎসা কোন পদ্ধতিতে এগোচ্ছে, কী কী খুঁজে পেয়েছেন, সেগুলো জানা জরুরি ছিল।”
মেডিক্যাল রিপোর্ট ও পরিবারে চাওয়া:
যদিও শুভেন্দুর এই অভিযোগের পরই নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে আসে। TV9 বাংলার হাতে আসা সেই রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিত রয়েছে বলে জানা যায়। হাসপাতালের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষত এবং ব্যাপক রক্তপাতের চিহ্ন রয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বাবা-মা তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে চাইছেন। সেই ব্যাপারে চিকিৎসকদের দ্রুত পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি জানান।