এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) শুক্রবার আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ এনেছে। ED-র দাবি, সিদ্দিকী দিল্লির মদনপুর খাদার এলাকায় মৃত হিন্দু জমির মালিকদের নামে জাল নথি তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে জমি দখল করেছেন।
তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, খসরা নম্বর ৭৯২-এর জমিটি একটি জাল জেনারেল পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি (GPA)-র ভিত্তিতে সিদ্দিকীর সঙ্গে যুক্ত ট্রাস্ট ‘তারবিয়া এডুকেশন ফাউন্ডেশন’-কে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
জালিয়াতির পদ্ধতি ফাঁস
ED-র তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নথিতে যাদের নাম জমির মালিক হিসেবে রয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে। তা সত্ত্বেও, ২০০৪ সালের ৭ জানুয়ারি তাদের নামে একটি জাল জেনারেল পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি তৈরি করা হয় এবং পরে সেই নথিটি জমি রেজিস্টার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ইডি এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে প্রতারণা বলে উল্লেখ করে জানিয়েছে যে জাল নথিই ছিল জমি অধিগ্রহণের ভিত্তি। সিদ্দিকী বর্তমানে এই মামলায় ED-র হেফাজতে রয়েছেন।
(জেনারেল পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি বা GPA কী?): এটি একটি আইনি নথি যা একজন ব্যক্তিকে সম্পত্তি এবং আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অন্যের পক্ষে কাজ করার, স্বাক্ষর করার এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেয়।
১৮ নভেম্বর গ্রেফতার হন সিদ্দিকী
উল্লেখ্য, আল-ফালাহ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকীকে গত ১৮ নভেম্বর গ্রেফতার করে ED। ১০ নভেম্বর দিল্লির লাল কেল্লার কাছে i20 গাড়ি বিস্ফোরণের পিছনে একটি সন্ত্রাসবাদী মডিউলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপকের জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে মানি লন্ডারিং মামলায় প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA), ২০০২-এর ১৯ ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইডি দিল্লি-এনসিআর-এর ২৫টি ভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল এবং গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত নয়টি শেল ফার্মকে তদন্তের আওতায় এনেছিল।
ইডি আল-ফালাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের দায়ের করা দুটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ ছিল, ফরিদাবাদের এই বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি স্বীকৃতির (ধারা ১২(বি)-এর অধীনে) মিথ্যা দাবি করে ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে অন্যায়ভাবে লাভবান হচ্ছিল।