ভোটের দামামা বাজতেই ফের শুরু হয়েছে দলবদলের খেলা। তবে এবারের প্রেক্ষাপট খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। রবিবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের খোদামবাড়ি এলাকায় আয়োজিত এক কর্মসূচিতে রীতিমতো শক্তিবৃদ্ধি করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় ৪০ জন আদি বিজেপি কর্মী এদিন দলত্যাগ করে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের কমিউনিটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজিত রায়। তাঁর উপস্থিতিতেই এই দলবদল সম্পন্ন হয়। সুজিত রায়ের দাবি, গত সাত মাসে তিনি তিনবার এই এলাকায় সভা করেছেন এবং প্রতিবারই বিজেপি কর্মীরা মোহভঙ্গ হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁর মতে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন কর্মী বিজেপি ছেড়েছেন। তিনি আরও যোগ করেন, “আদি বিজেপি কর্মীরা দলে মর্যাদা না পেয়ে ক্ষুব্ধ, তাই তাঁরা উন্নয়নের শরিক হতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় আসছেন।”
অন্যদিকে, এই দলবদলকে সম্পূর্ণ ‘নাটক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। নন্দীগ্রাম মণ্ডল ৪-এর বিজেপি নেতা সৌমিত্র দে-র পাল্টা দাবি, “যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁরা কেউ বিজেপি কর্মী নন। বরং তাঁরা তৃণমূলের টিকিটেই গত পঞ্চায়েত সমিতিতে লড়েছিলেন এবং হেরেছিলেন। এখন পুনরায় পুরনো দলেই ফিরে গিয়েছেন।” যদিও দলত্যাগী কর্মী শম্ভু দাসের দাবি, বিজেপির উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি ছিল সারশূন্য, তাই তাঁরা পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভোটের আগে নন্দীগ্রামে এই রাজনৈতিক চাপানউতোর যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।