বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ ভোটের হার সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের মধ্যে থাকে। এই হার বাড়ানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় প্রশাসন একাধিক নতুন কৌশল নিচ্ছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, পাটনা জেলা প্রশাসনের সুপারিশে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক, বিহারের কার্যালয় থেকে লোকগায়িকা ড. নীতু কুমারী নবগীতকে পাটনা জেলায় ‘সুইপ (SVEEP) অভিযানের আইকন’ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। তাঁর কাজ হবে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করা।
টিভি৯ ভারতবর্ষের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. নীতু জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোটারদের সুবিধার জন্য ১৯৫০ হেল্পলাইন নম্বর জারি করা হয়েছে।
অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার
ড. নীতু নবগীত জানান, এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো খুব কম সময়ে বেশি সংখ্যক ভোটারের কাছে পৌঁছানো। এর জন্য বড় সংখ্যায় অডিও এবং ভিডিও বার্তা তৈরি করা হচ্ছে।
এই অডিও-ভিডিওগুলির মাধ্যমে ভোটারদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে যে, কেন তাঁদের জন্য ভোট দেওয়া জরুরি এবং একটি ভালো সরকার বেছে নেওয়ার জন্য ভোটদানের কতটা প্রয়োজন। ভোট দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য লোকগীতির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।
‘১৯৫০’ হেল্পলাইন থেকে মিলবে সাহায্য
ড. নীতু আরও জানান যে, সাধারণ ভোটারদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় আছে কি না, তা জানা। এর জন্য এখন আর ওয়েবসাইটে যাওয়ার দরকার নেই। শুধুমাত্র ফোন করেই ভোটাররা জানতে পারবেন যে তাঁদের নাম তালিকায় আছে কি না। এর জন্য ১৯৫০ ডায়াল করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন এই ধরনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের সাহায্য নিচ্ছে যাতে ভোটের হার আরও বাড়ানো সম্ভব হয়।
কে এই ড. নীতু কুমারী নবগীত?
লোকগায়িকা ড. নীতু কুমারী নবগীত বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনুষ্ঠান করে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি মরিশাস, ফিজি এবং নেপালের মতো দেশেও পারফর্ম করেছেন।
এর আগে তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও পাটনা জেলার সুইপ আইকন হিসাবে কাজ করেছেন এবং স্কুল-কলেজ, এবং জনসমাগমস্থলে গিয়ে মানুষকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছিলেন। এছাড়াও, তিনি পাটনা নগর নিগমের পরিচ্ছন্নতা সচেতনতা অভিযানেরও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক ড. ত্যাগরাজন এস.এম. জানিয়েছেন, তাঁরা এই বছর পাটনা জেলার ভোটের হার প্রায় ৬৬ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন। এই লক্ষ্যে পৌঁছতে সব পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সুইপ আইকনের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করার অভিযান আরও জোরদার হবে।