দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জনের পরই চরম বিপত্তি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা ১ নম্বর ব্লকের লোধা গ্রামে বিসর্জনের পর সিদ্ধি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ২৫ জন। অসুস্থদের মধ্যে নারী, পুরুষ, বয়স্ক এবং শিশুসহ ১০ জনকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও, বেশ কয়েকজনকে অন্যান্য হাসপাতাল ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার লোধা গ্রামে স্বামী দেবানন্দ আশ্রমে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সিদ্ধি তৈরি করে তা খাওয়ার রীতি রয়েছে। সেই ঐতিহ্য মেনে সিদ্ধি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই সকলে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করতে শুরু করেন। দেখা দেয় বমি-সহ একাধিক উপসর্গ।
অসুস্থদের দাবি: সিদ্ধিতে ক্ষতিকারক কিছু মেশানো হয়েছিল
অসুস্থ ব্যক্তি ও তাঁর পরিজনদের দাবি, আশ্রমে সিদ্ধি খাওয়ার পর যাঁরা খেয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
রোগীর পরিজন তাপস কোলে বলেন, “দেবানন্দ আশ্রমে দুর্গাপূজার বিসর্জন উপলক্ষে সিদ্ধি খাওয়ানো হয়েছিল। সেই সিদ্ধি খাওয়ার পর থেকেই সমস্যা শুরু হয় এবং অনেকেরই বমি-পেট খারাপ শুরু হয়। আমাদের মনে হয়, এই সিদ্ধিতে এমন কিছু মেশানো হয়েছিল যার জন্যই এই ধরনের সমস্যা হয়েছে সবার।”
চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণ
চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক পার্থসারথী সিট জানিয়েছেন, মহিলা, পুরুষ, বয়স্ক ও শিশু-সহ ১০ জন হাসপাতালে এসেছেন।
তিনি বলেন, “দুর্গাপূজার বিসর্জনে গিয়ে ওরা সিদ্ধি খেয়েছিল। তারপর থেকে বমি এবং পেট খারাপ হয়। বর্তমানে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শারীরিক সমস্যা বেশি। এখানে রাখা সম্ভব না-হলে তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তরও করা হতে পারে।” বেশি সমস্যায় ভোগা কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিদ্ধি খাওয়ার পর গণ-অসুস্থতার এই ঘটনায় লোধা গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই সিদ্ধিতে কী কারণে এই ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলো, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।