বিমানের দেরিতেও মিলবে রিফান্ড! জেনেনিন কিভাবে ফেরত পাবেন টিকিটের দাম?

ইন্ডিগোর (IndiGo) লাগাতার ফ্লাইট বিপর্যয়ের জেরে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ অব্যাহত। বিমান বাতিল ও দেরিতে উড়ানের কারণে সর্বত্র ক্ষোভ বাড়ছে। এই অব্যবস্থার মাঝে এবার নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (FDTL)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লজ প্রত্যাহার করে নিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)।

পাইলটদের ছুটিতে কী বদল?

নতুন নিয়মের কারণে বিমান সংস্থাগুলিতে যে অপারেশনাল চাপ তৈরি হয়েছে, তা কিছুটা কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

  • আগের নিয়ম: পূর্ববর্তী নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পাইলটদের নেওয়া ছুটি (casual leave) সাপ্তাহিক বিশ্রামের নির্দিষ্ট সময়সীমার (weekly rest) মধ্যে গণ্য করা যাবে না। অর্থাৎ, পাইলটরা ছুটি নিলেও সপ্তাহে বাধ্যতামূলক ৪৮ ঘণ্টার বিশ্রাম তাঁদের দিতেই হতো।

  • বর্তমান বদল: DGCA সেই সংক্রান্ত নিয়মটি শিথিল করল। এবার থেকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের দিনের বদলে অন্য কোনও ছুটি নেওয়া যাবে না—এই ক্লজটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, পাইলটদের রাতের কাজ (Night Duty) সংক্রান্ত বিধিও শিথিল করা হয়েছে।

টিকিটের টাকা কীভাবে ফেরত পাবেন?

গত ২ ডিসেম্বর থেকে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর থেকে কয়েকশো ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। ফ্লাইট বাতিল হলে টিকিটের পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে যাত্রীদের মনে বড় বিভ্রান্তি রয়েছে।

ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে তাদের ‘Plan B’ বিকল্প ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। নিচে রিফান্ড বা ফ্লাইট বদলের স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেওয়া হলো:

  • ১. ইন্ডিগো ওয়েবসাইট ভিজিট: প্রথমে IndiGo-র ওয়েবসাইটে যান এবং নীচে ‘Support’ অপশনটি ক্লিক করুন।

  • ২. ‘Plan B’ নির্বাচন: এখানে ‘Plan B’ বিকল্পটি পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহার করে ফ্লাইট বদল বা রিফান্ড পাওয়া যায়।

  • ৩. তথ্য পূরণ: আপনার PNR/বুকিং রেফারেন্স নম্বর এবং ইমেল আইডি দিন।

  • ৪. বিকল্প বেছে নিন: এরপর ‘Change Flight’ বা ‘Cancel Flight’—এই দুইয়ের মধ্যে যেটি প্রয়োজন সেটি বেছে নিন।

  • ৫. নতুন বুকিং/রিফান্ড: আপনি একই টিকিটে নতুন সময় বা তারিখ বেছে নিতে পারবেন অথবা সরাসরি ফ্লাইট বাতিল করে রিফান্ডও পেতে পারেন।

  • সুবিধা পাওয়ার শর্ত:

    • আপনার ফ্লাইট বাতিল হলে।

    • ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের থেকে ১ ঘণ্টা বা বেশি আগে এগিয়ে আনা হলে।

    • ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের থেকে ২ ঘণ্টা বা বেশি দেরি হলে।

  • অতিরিক্ত চার্জ: ‘Plan B’ ব্যবহার করতে যাত্রীর কোনো বাড়তি টাকা লাগবে না।

  • রিফান্ড সময়সীমা: সাধারণত ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিফান্ড পাওয়া যাবে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy